টুকরো খবর
ডলার হাতিয়ে গ্রেফতার তিন যুবক
ই-মেল ‘হ্যাক’ করে ৩৮ হাজার মার্কিন ডলার হাতানোর অভিযোগে কলকাতার গোয়েন্দা পুলিশ বুধবার দিল্লি থেকে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম সাদিক আলি, মহম্মদ খালিদ এবং সাদাকাত হোসেন। গোয়েন্দা প্রধান পল্লবকান্তি ঘোষ বৃহস্পতিবার জানান, তিলজলার কুষ্টিয়া রোডের তামাক ব্যবসায়ী শেখ কৌসার ২০১১ সালে তিউনিশিয়ার এক সংস্থায় ৮৮ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের তামাক রফতানি করেছিলেন। শর্ত অনুযায়ী প্রথম ধাপে তাঁর ৩৮ হাজার মার্কিন ডলার পাওনা হয়। কয়েক মাস পরেও ওই ডলার তাঁর কলকাতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা না পড়ায় তিনি ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সংস্থা থেকে জানানো হয়, তাঁর দিল্লির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ওই ডলার পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কৌসার ওই সংস্থার কর্তৃপক্ষকে জানান, দিল্লিতে তাঁর কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই। এর পরেই গোয়েন্দাদের কাছে অভিযোগ জানান ওই তামাক ব্যবসায়ী। তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ধৃত তিন জন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে তাদের কমিশনের টাকা তুলে নিয়েছে। এই চক্রের পাণ্ডা এক বিদেশি। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

প্রধান বিচারপতির বার্তা, কর্মবিরতি শেষ ব্যাঙ্কশালে
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্রের হস্তক্ষেপে অবশেষে অচলাবস্থা কাটল ব্যাঙ্কশাল আদালতে। তাঁর ‘অনুরোধ’ মেনে বৃহস্পতিবার দুপুরে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন আইনজীবীরা। তবে এ দিন ব্যাঙ্কশাল ও নগর দায়রা আদালতে স্বাভাবিক কাজ হয়নি। বিচারক, সরকারি আইনজীবীরা এজলাসে গেলেও আবেদনকারীর আইনজীবী হাজির না-থাকায় শুনানি হয়নি বহু মামলারই। জোড়াসাঁকো থানার ওসি ব্যাঙ্কশালের এক প্রবীণ আইনজীবীকে হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ তুলে বুধবার থেকে শুক্রবার কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন কিছু আইনজীবী। অভিযুক্ত ওসি আদালতে গিয়ে ক্ষমা না-চাইলে কর্মবিরতি হবে বলে জানানো হয়। কর্মবিরতি তুলে আইনি পথে পরিস্থিতির সমাধানসূত্র খোঁজার পরামর্শ দেন প্রধান বিচারপতি মিশ্র। এ দিন ব্যাঙ্কশালের মুখ্য বিচারকের মাধ্যমে আইনজীবীদের কাছে এই মর্মেই বার্তা পাঠান তিনি। দুপুরে আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্য বিচারক। তখনই প্রধান বিচারপতির বক্তব্য সকলকে জানানো হয়। তার পরেই কর্মবিরতি তুলে নেওয়া হয়। কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে এর আগেও বারবার অকারণে সময় নষ্ট না-করার কথা বলেছেন প্রধান বিচারপতি।

হাড়গোড়, খুলি উদ্ধার
পশ্চিম বন্দর এলাকা থেকে বুধবার সন্ধ্যায় একটি শিশুর মাথার খুলি ও কিছু হাড়গোড় উদ্ধার করল পুলিশ। পুলিশ জানায়, স্থানীয় ব্রুক লেনের একটি জলাজমি থেকে ওই হাড়গোড় মেলে। নীল রঙের একটি জিন্স এবং লাল রঙের একটি টি-শার্টের তলায় সেগুলি ছিল। কলকাতা ডক লেবার বোর্ডের আবাসনের বাসিন্দা মহম্মদ হীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর পাঁচ বছরের ছেলে রাজ হোসেন গত ৫ জানুয়ারি বাড়ি থেকে রাগ করে বেরিয়ে যায়। তার পর থেকে সে নিখোঁজ। পেশায় লরিচালক হীরা বুধবার রাতে থানায় গিয়ে ওই জামাকাপড় দেখে দাবি করেছেন, সেগুলি তাঁর ছেলেরই। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) পল্লবকান্তি ঘোষ বৃহস্পতিবার জানান, উদ্ধার হওয়া ১২টি হাড় এবং একটি খুলি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। সেগুলি নিখোঁজ শিশুটির কি না, এখনই বলা যাবে না। রাজকে খুন করা হয়েছে কি না, সেই প্রশ্নের জবাবে গোয়েন্দা প্রধান বলেন, “এখনও ওই শিশুর বাবা অভিযোগ দায়ের করেননি। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে তদন্ত শুরু হবে।”

যাত্রীকে হেনস্থা করে গ্রেফতার
ভাড়া নিয়ে বচসার জেরে এক মহিলা যাত্রীকে হাত ধরে টেনে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক কন্ডাক্টরের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার, হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডে। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে এন্টালি থানার পুলিশ এ দিনই আকবর আলি নামে ওই কন্ডাক্টরকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, ওই মহিলা তাঁর বৃদ্ধ মা ও ছেলেকে নিয়ে বাগুইআটিগামী ৪৪ নম্বর রুটের বাসে ওঠেন। তাঁর অভিযোগ, আকবর তাঁর কাছে মালপত্র বোঝাই ব্যাগের ভাড়াও চান। দিতে অস্বীকার করায়, তাঁকে ওই কন্ডাক্টর বাস থেকে নামিয়ে দেয়। তিনি পরের বাসে ওঠেন। শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে এসে দেখেন, আকবরের বাস সিগন্যালে দাঁড়িয়ে। বাস থেকে নেমে তিনি ট্রাফিক সার্জেন্টদের কাছে আকবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। তার পরই ধরা হয় আকবরকে।

প্রতিবন্ধী ধর্ষণে ধৃত অভিযুক্ত
বেহালায় মানসিক এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী তরুণীর ধর্ষণের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ল অভিযুক্ত বিকাশ ঘোষ। আনোয়ার শাহ রোডের এক জায়গা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে আদালতে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তরুণীর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, এখনও তাঁর আতঙ্কের রেশ কাটেনি। তরুণীর মা বলেন, “ওই লোকটির শাস্তি চাই।” এ দিকে, স্থানীয় তৃণমূল এবং সিপিআই দু’টি দলের নেতারাই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে ওই পরিবারটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দ্রুত শংসাপত্র চেয়ে স্মারকলিপি
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে অনগ্রসর শ্রেণির মানুষদের দ্রুত সরকারি শংসাপত্র দেওয়ার দাবি তুলল পশ্চিমবঙ্গ বামফ্রন্ট কমিটি। বৃহস্পতিবার কমিটির তরফে সিপিএম নেতা রবীন দেব মহাকরণে গিয়ে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন। রবীনবাবু জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনগ্রসর শ্রেণির যে-সব প্রার্থী লড়বেন, তাঁদের কাছে সরকারি শংসাপত্র না-থাকলে মনোনয়নপত্র জমা দিতে অসুবিধা হবে।

কার্টুন কাণ্ডে প্রশ্ন
কার্টুন কাণ্ডের জেরে অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রের গ্রেফতারি ও রাজ্য এই ব্যাপারে মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশ না-মানায় জনস্বার্থে যে-মামলা হয়েছে, সেটি গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট। তবে আদালত জানতে চায়, অম্বিকেশবাবু নিজে কেন মামলা করলেন না। তিনি কমিশনের কাছে যান। কমিশন তদন্ত করে কিছু সুপারিশও করে। সুপারিশ না-মানলে অম্বিকেশবাবু হাইকোর্টে বিচার চাইতেই পারতেন। রাজ্যের জিপি অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, এই মামলা করার ঠিক সময় এটা নয়। কারণ সুপারিশ বিবেচনা করা হচ্ছে বলে কমিশনকে জানিয়েছে সরকার। এক মাস পরে মামলাটির শুনানি হবে।

কাজে ফেরাতে
মিল্লি আল আমিন কলেজের সাসপেন্ড হওয়া তিন স্থায়ী শিক্ষিকাকে কাজে ফেরানোর ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করার আর্জি জানিয়ে কলেজ-কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের শিক্ষা অধিকর্তা। সুষ্ঠু পঠনপাঠনের স্বার্থেই এই চিঠি বলে উচ্চশিক্ষা দফতরের ব্যাখ্যা। যদিও কলেজ-কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা কোনও চিঠি পাননি। গত ৩১ জানুয়ারি ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষার সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন শিক্ষিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। গোলমাল বাধে অন্য দুই শিক্ষিকা জারিনা খাতুন ও প্রবীণ কৌরের সঙ্গেও। পরে ওই তিন জনকে সাসপেন্ড করা হয়।

জাল পাসপোর্ট
কলকাতা থেকে দুবাই যাওয়ার পথে বিমানবন্দরে জাল পাসপোর্ট-সহ ধরা পড়লেন চার যুবক। পুলিশ সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে এই চার যুবকের দু’জন ত্রিপুরা ও দু’জন বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে কোনও বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ঢুকেছিলেন ভারতে। কোনও দালালের মারফত চারটি জাল ভারতীয় পাসপোর্ট কিনে এ দিন দুবাই হয়ে রিয়াধ যাচ্ছিলেন তাঁরা। উদ্দেশ্য ছিল সেখানে গিয়ে শ্রমিকের কাজ করা।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.