|
|
|
|
ভাঙা সেতুতে পুলিশি ব্যূহ, আহতের ছুটি |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
উল্টোডাঙায় উড়ালপুল ভেঙে পড়ার ঘটনায় আহত ট্রাকচালক ও খালাসি সরকারি হাসপাতাল থেকে আগেই ছাড়া পেয়ে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন তাঁদের স্থানীয় গাইডও।
রবিবার ভোরে উড়ালপুল ভেঙে একটি পাথরবোঝাই ট্রাক কেষ্টপুর খালে পড়ে যায়। আহত হন ট্রাকটির চালক মহম্মদ খালিদ, খালাসি মজিদ খান এবং তাঁদের স্থানীয় গাইড শেখ সইফুদ্দিন। পুলিশ জানায়, খালিদ ও মজিদকে আর জি কর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গুরুতর জখম সইফুদ্দিনকে নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে। |
|
বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রের খবর, সইফুদ্দিনের গালের হাড় ভেঙে গিয়েছিল। তা সারাতে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। অবস্থার উন্নতি হওয়ায় এ দিন তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর জি কর সূত্রের খবর, মজিদকে গত মঙ্গলবার ছুটি দেওয়া হয়েছে। তবে খালিদের পেটে রক্ত জমে ছিল। তাঁকে আরও কয়েক দিন হাসপাতালে রাখতে চেয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু তাঁর পরিবারের লোকেরা ‘বন্ড’ দিয়ে খালিদকে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছেন। দুর্ঘটনাস্থলের ছবিটাও এ দিন থেকে বদলাতে শুরু করেছে। গত কয়েক দিন সেখানে উৎসাহী দর্শক, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষক-ছাত্রের ভিড় লেগেছিল। এ দিন সকাল থেকে ভাঙা উড়ালপুলের আশেপাশে কড়া পুলিশি পাহারা বসানো হয়। কলকাতা ও বিধাননগর পুলিশ যৌথ ভাবে ভিড় সামলায়। সংবাদমাধ্যম ছাড়া কাউকে দুর্ঘটনাস্থলের ধারেকাছে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। আসেনি কোনও বিশেষজ্ঞদলও। ঘটনাস্থলে যেতে না-পারলেও ভিআইপি রোড ও সল্টলেকমুখী স্লিপ রোডে দাঁড়িয়ে অনেকেই মোবাইলে ছবি তুলেছেন।
আতঙ্ক কাটিয়ে ওই উড়ালপুলে বিমানবন্দরমুখী লেনে গাড়ির সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। উড়ালপুলে বাস বা লরি চলাচল বন্ধ রেখেছে পুলিশ। বাইপাসে উড়ালপুলের মুখে নির্দিষ্ট উচ্চতায় ব্যারিকেড বসানো হয়েছিল। যাতে বড় গাড়ি উড়ালপুলের ওই লেনে ঢুকতে না-পারে।
পুলিশি সূত্রের খবর, বুধবার রাতে কোনও লরি ওই লেনে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। ফলে ব্যারিকেডটি ভেঙে যায়। দুর্ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা প্রসঙ্গে পুরমন্ত্রী ববি হাকিম এ দিন বলেন, “পুলিশকর্তাদের নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|