পরীক্ষা দেওয়াকে কেন্দ্র করে কলেজের অফিসঘরে ঢুকে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করল একদল ছাত্র। রামপুরহাট কলেজের ওই পড়ুয়ারা বৃহস্পতিবার সকালে অফিসঘরে ঢুকে চেয়ার উল্টে বিক্ষোভ দেখায়। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জয়দেব পান বলেন, “ভুল বোঝাবুঝির জেরে কলেজের ছাত্র সংসদের কয়েকজন প্রতিনিধি এই কাণ্ড করেছে।”
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ‘ডে শিফট্’-এর বিএ দ্বিতীয় বর্ষের বাংলা দ্বিতীয়পত্রের টেস্ট পরীক্ষা ছিল। এর আগে গত ৪ মার্চ ‘মনিং শিফট্’-এর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই দিনের পরীক্ষায় অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীই অনুপস্থিত ছিলেন। এ দিন সমস্যা শুরু হয়, ‘ডে শিফট্’-এর পরীক্ষায় ‘মনিং শিফট্’-এর কিছু পড়ুয়া জোর করে পরীক্ষা হলে ঢুকে পড়ায়। ওই পড়ুয়ারা অনেকেই প্রশ্নপত্র পেয়ে যাওয়ায় বৈধ পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র কমে যায়। জয়দেববাবু বলেন, “সাময়িক ভাবে পরীক্ষার্থীদের অসুবিধা হয়। পরে প্রশ্নপত্র জেরক্স করে সমস্যা মেটানো হয়।” ‘মনিং শিফট্’-এর ওই পরীক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে তিনি জানিয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্র সংসদের কিছু নেতা অফিসঘরে পৌঁছে কলেজ কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ তুলে হৈচৈ শুরু করে বলে অধ্যক্ষের দাবি। জয়দেববাবুর বক্তব্যে অবশ্য একমত নন ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক আলম শেখ। তাঁর দাবি, “অধ্যক্ষের সঙ্গে ছাত্র সংসদের বোঝাপড়ার অভাবে এ দিন পরীক্ষা দিতে এসে অনেক পরীক্ষার্থী ঘুরে গিয়েছেন। অধ্যক্ষ নিজের খেয়ালখুশি মতো যেখানে সেখানে পরীক্ষার নোটিস টাঙিয়ে দিচ্ছেন। সাধারণ পড়ুয়ারা অসুবিধায় পড়ছেন।” ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারাই অফিসঘরে প্রতিবাদ জানাতে গিয়েছিলেন বলে তাঁর দাবি।
এ দিকে এ দিনের গণ্ডগোলের পিছনে কলেজ কর্তৃপক্ষের কোনও দোষ নেই বলেই মন্তব্য করেছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। নির্ধারিত দিন পরীক্ষা না দিলেও ‘মনিং শিফট্’-এর ওই অনুপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের ফের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৬ মার্চ ওই পরীক্ষা নেওয়া হবে। এ দিনের বিশৃঙ্খলার নেপথ্যে জয়দেববাবুর মত, “কলেজের শিক্ষার মান বাড়ানোর জন্য টেস্ট পরীক্ষা চালু করা হয়েছে। পড়ুয়াদের একটা অংশ ওই পরীক্ষা যাতে না দিতে হয়, তার জন্যই ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করছে।” |