মঙ্গলবার জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ইসলামপুর মহকুমায় নির্বিঘ্নেই শেষ হল এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। এ দিন কোথাও কোনও গোলমাল না হলেও এবার পরীক্ষায় নকলে মদত দেওয়ার অভিযোগে মোট ৯৫ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। যার মধ্যে একজন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকও আছেন। মঙ্গলবার ধৃতদের মধ্যে ২৮ জনের জামিন হয়েছে। ইসলামপুর অতিরিক্ত মুখ্য ও দায়রা আদালতের সরকারি আইনজীবী মহম্মদ ওয়াসিম পারভেজ জানান, ধৃতদের মধ্যে অনেকেরই জামিনযোগ্য ধারা ছিল। ৪২ জনকে জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। ১৪ জন এখনও জামিন পাননি। |
মঙ্গলবার শেষ হল মাধ্যমিক পরীক্ষা। স্বস্তির হাসি
পরীক্ষার্থীদের। জলপাইগুড়িতে সন্দীপ পালের তোলা ছবি। |
মাধ্যমিকের প্রথম দিন থেকেই উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের মনিভিটা, লোধন, ঠিকরিবাড়ি, ধরমপুর-সহ একাধিক স্কুলে ব্যাপক হারে নকলে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠতে থাকে। পরীক্ষার প্রথম দিন, বাংলা পরীক্ষায় নকলে মদত দেওয়ার অভিযোগে নানা জায়গা থেকে পুলিশ ৪০ জনকে গ্রেফতার করে। ইংরেজি পরীক্ষার দিন ২৭ জনকে ধরা হয়।
১ মার্চ নকল সরবরাহ করতে বাধা দেওয়ায় ঠিকরিবাড়ি এলাকাতে পুলিশ জনতার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। ঢিলে আহত হন ইসলামপুরের মহকুমা শাসক সমনজিত সেনগুপ্ত। পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করে। ওই ঘটনার পর থেকে গোয়ালপোখরে পরীক্ষা হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবেই। পুলিশ জানিয়েছে, কয়েকটি ক্ষেত্রে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়। যারা এলাকাতে পুলিশের কাজে বাঁধা দিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হয়েছে। ইসলামপুরের এসডিপিও সুবিমল পাল বলেন, “যারা যে ধরণের অপরাধ করেছে তাদের বিরুদ্ধে সেই রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” |