সোমবার ও মঙ্গলবার, দু’দিন ফের ভোগান্তিতে পড়তে হল শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি রুটের নিত্যযাত্রীদের। সোমবার সন্ধ্যেয় দুটি পূর্ব নির্দিষ্ট বাস চলেনি। অন্য বাসগুলিতে ছিল ঠাসাঠাসি ভিড়। অনেকে উঠতেই পারেননি। প্রায় দরজায় ঝুলে যেতে হয়েছে নিত্যযাত্রীদের। নিত্যযাত্রী সঞ্জীব মণ্ডল বলেন, “বিনা নোটিসে এভাবে বাস বন্ধ করে যাত্রীদের বিপাকে ফেলার প্রবণতা ঠিক নয়। সরকারি তরফে ব্যবস্থা দরকার।”
মঙ্গলবার অফিসের সময়েও বাস নিয়ে সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। জলপাইগুড়িতে সকাল ৯টা ৪০ এর বাসটি খারাপ থাকায় অসুবিধেয় পড়তে হয় নিত্যযাত্রীদের। পরের বাসে ছিল উপচে পড়া ভিড়। স্কুল-অফিসে সময়ে পৌঁছতে অনেকেই পুরো রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হন। দরজায় ঝুলতে হয়েছে অনেক যাত্রীকে।
একই দুর্ভোগ ছিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। সন্ধ্যায় দু’টি বাস না থাকায় ফের সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। যদিও বাসের অনিয়মিত পরিস্থিতি মানতে নারাজ শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটির সদস্য সুদীপ্ত ঘোষ। তাঁর দাবি, “সকাল ৬ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত নন স্টপ সার্ভিস থাকে। প্রতিদিন ২৩টি সুপার বাস নিয়মিত চলে। লোকাল বাসও রয়েছে ২০টির মত। যথেষ্ট সরকারি বাসও রয়েছে। যাত্রীদের অসুবিধে হওয়ার কথা নয়।”
কিন্তু, নিত্যযাত্রীদের অভিজ্ঞতা কিন্তু অন্য কথা বলছে। শিলিগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি যাঁদের রোজই যাতায়াত করতে হয় মৈনাক রায়কে। ব্যবসার সূত্রে জলপাইগুড়ি শহরে গিয়ে ফিরতে রাত হয় তাঁর। তিনি বলেন, “জানি বাস আছে। তবে মাঝেমধ্যে যা অভিজ্ঞতা হয়, তাতে সন্ধ্যার পরে বাস পাব কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যায়।” সুব্রত রায়, বনশ্রী ঘটকের মতো নিত্যযাত্রীরা জানান, মাঝেমধ্যেই তাঁদের গোশালা মোড়ে গিয়ে দূরপাল্লার বাসে উঠে শিলিগুড়ি ফিরতে হয়। কিন্তু ওই সব বাসে জায়গা মেলা ভার। হলদিবাড়ি থেকে আসা বাসেও জায়গা মেলে না। শিলিগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি ফেরার সময়েও বর্ধমান রোডের বাস স্ট্যান্ডে রোজই হট্টগোল বাঁধে। বেসরকারি সংস্থার চাকুরে গুণময় কুন্ডু, মেহবুব হোসেনরা বলেন, “সন্ধ্যার পরে বর্ধমান রোডের স্ট্যান্ডে বাসের সময়ের ঠিকঠিকানার হদিস পাওয়া মুশকিল। অনেক দিনই ট্রাক ধরে ফিরতে হয়।”
এমতাবস্থায়, নিত্যযাত্রীদের সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তবে কবে তিনি বৈঠক করবেন এবং কী ব্যবস্থা নেবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়। |