নান্টু পালের অপসারণের পর এ বার শিলিগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান পদ দখল করতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামছে কংগ্রেস এবং তৃণমূল।
১৩ মার্চ চেয়ারম্যান পদের জন্য নির্বাচন। পুর কমিশনার নোটিশ দিয়ে তা ঘোষণা করেছেন। তবে পুরসভার ক্ষমতাসীন কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের দুই শরিক দলের এই লড়াই নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব জানান, তৃণমূলের তরফে শিলিগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “প্রার্থীর নাম এখনও ঠিক হয়নি। দলের মধ্যে আলোচনা করে শীঘ্রই তা ঠিক করা হবে। তবে আমরা চেয়ারম্যান পদের জন্য লড়াই করব।” মঙ্গলবারই অবশ্য চেয়ারম্যান পদের জন্য নান্টু পাল মনোনয়ন তুলেছেন। কংগ্রেসের তরফে ওই আসনে কাউন্সিলর সবিতা দেবী অগ্রবালকে প্রার্থী করা হবে বলে জানিয়েছেন দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সভাপতি (সমতল) শঙ্কর মালাকার। তৃণমূলের কাউন্সিলরদের তরফে নান্টু পালই চেয়ারম্যান পদে দাঁড়াবেন কি না আজ, বুধবার সকালে দলের কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকের পর তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। অন্য দিকে এ দিন সন্ধ্যায় জেলা কংগ্রেসের একটি বৈঠকে সবিতাদেবীর নাম ঠিক হয়।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার এবং আজ, বুধবার দু’দিন মনোনয়ন পত্র তোলা ও জমা দেওয়ার দিন ধার্য হয়েছে। দলীয় সূত্রের খবর, তৃণমূলের তরফে ফের নান্টু পালকে চেয়ারম্যানের পদের জন্য প্রার্থী করতে চায় একাংশ। অপর পক্ষ ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরিন্দম মিত্রকে চেয়ারমান করার পক্ষে।
কংগ্রেসের তরফে দাবি, জোটের বোর্ড গঠনের সময় দুই দলের কাউন্সিলররা ৫ টি করে পদ পাবে বলে ঠিক হয়। চেয়ারম্যান, মেয়র ও তিনটি মেয়র পারিষদ কংগ্রেস পায়। ডেপুটি মেয়র-সহ চারটি মেয়র পারিষদ তৃণমূলের জন্য। দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র অভিজিত্ রায়চৌধুরী বলেন, “আমরা জোট ধর্ম মেনেই প্রার্থী দেব। তৃণমূল প্রার্থী দিতে পারে না। তৃণমূল জোট-শর্ত মানবেন কি না তা তাদের ব্যাপার।”
নান্টু পালকে নিয়ে বর্তমানে তৃণমূলের ১৫ জন কাউন্সিলর, কংগ্রেসের ১৪ জন। এবং বামেদের ১৭ জন কাউন্সিলর। নান্টুবাবু কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বামেরা। ভোটাভুটিতে হেরে নান্টুবাবু অপসৃত হন। পুরসভার বিরোধী দলনেতা নুরুল ইসলাম বলেন, “আমরা চেয়ারম্যান পদের জন্য লড়াই করব না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছে। কংগ্রেস-তৃণমূল কী করবে সেটা তাদের ব্যাপার।” |