গৃহধর্মে আবার মন ফিরছে সন্ন্যাসীর! তবে শর্তসাপেক্ষে!
দলের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেওয়ার ঘোষণা করে দিয়েছিলেন সিঙ্গুরের তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। কৃষি দফতর থেকে সরিয়ে যাঁকে যে পরিসংখ্যান ও প্রকল্প রূপায়ণ দফতরের মন্ত্রী করা হয়েছিল, তার দায়িত্ব নিতে চাননি। যাননি বিধানসভাতেও। আসন্ন বাজেট অধিবেশনের জন্য তাঁর কাছে চিঠি গিয়েছে ওই দফতরের মন্ত্রী হিসাবেই। রবীন্দ্রনাথবাবু জানিয়েছেন, এ বারএ তিনি অধিবেশনে যোগ দেবেন না। কিন্তু একই সঙ্গে বলেছেন, শুধু বিধায়ক হিসাবে আমন্ত্রণ পাঠানো হলে ভেবে দেখবেন! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে মন্ত্রিসভায় অন্য দায়িত্ব দিলেও তিনি বিবেচনায় রাজি!
রবীন্দ্রনাথবাবু মঙ্গলবার বলেছেন, “বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে ৮ মার্চ। পরিসংখ্যান মন্ত্রী হিসাবে আমাকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। কিন্তু আমি ওই দফতরের মন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে পদত্যাগপত্র দিয়েছি মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে বলে আমি শুনিনি। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভায় যোগ দিলে মন্ত্রীর আসনে বসতে হবে। তাই আমি বিধানসভায় যাব না।”
সিঙ্গুরের ‘মাস্টারমশাই’ অবশ্য এ-ও জানিয়েছেন যে, পরিস্থিতির পরিবর্তন হলে বিধানসভায় যেতে তাঁর আপত্তি নেই। কিন্তু কী সেই পরিবর্তন? রবীন্দ্রনাথবাবুর ব্যাখ্যা, বিধায়ক হিসাবে তাঁকে আমন্ত্রণ পাঠানো হলে বিধানসভায় যাবেন। এ ছাড়া, মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রিসভায় তাঁর দায়িত্বের ব্যাপারে নতুন কোনও ভাবনা-চিন্তা হলেও তিনি বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে পারেন। তাঁর কথায়, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বা নেতৃত্বস্থানীয় কেউ যদি মন্ত্রিসভায় আমাকে প্রয়োজন বলে মনে করেন, সে ক্ষেত্রে অন্য কোনও দফতর দিয়ে প্রস্তাব পাঠালে বিষয়টি নতুন করে বিচার-বিবেচনা করে দেখার ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে।”
বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ার ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেননি রবীন্দ্রনাথবাবু। আবার পরিস্থিতির পরিবর্তন না-হলে তেমন কিছু ভাবতেও তিনি যে পিছপা হবেন না, তা-ও এ দিন স্পষ্ট করে জানিয়েছেন! পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দল তাঁকে মন্ত্রিসভায় নতুন পদে আনছে কি না জানতে চাইলে প্রবীণ বিধায়কের জবাব, “আমি কী করে বলব! মুখ্যমন্ত্রী বলতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী অন্য দায়িত্ব দিলে বিবেচনা করব।” |