গাড়িতে ‘প্রেস’ স্টিকার লাগিয়ে নিজেদের শুল্ক দফতরের কর্মী পরিচয় দিয়ে কারখানায় ঢোকার চেষ্টায় উত্তেজনা ছড়াল বাদুড়িয়ায়। মালিকের অনুমতি ছাড়া দারোয়ান গেট খুলতে রাজি না হওয়ায় ওই শুল্ককর্মীরা শ্রমিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন বলে অভিযোগ। এর জেরে দু’পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি এবং মারামারি বেধে যায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টা নাগাদ বাদুড়িয়া-মসলন্দপুর রাস্তায় ওই কারখানাটি সকালে খোলামাত্র গেটের সামনে এসে দাঁড়ায় প্রেস লেখা একটি গাড়ি। ওই গাড়ির যাত্রীরা দারোয়ানকে গেট খোলার জন্য জোরাজুরি করলে বচসা বাধে। এর পরে কারখানার গেট খুলে দেওয়া হলে ভিতরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে তদন্ত শুরু করেন তারা। তদন্ত চলাকালীন গেট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ দিকে তিন-চার ঘন্টা বাইরে বেরোতে না পেরে ক্ষুব্ধ হন শ্রমিকেরা। ওই কারখানার শ্রমিক স্থানীয় রহিম মণ্ডল, অহাব গাজিরা বলেন, “গাড়িতে প্রেস লেখা দেখে সাংবাদিক ভেবে তাঁদের সাহায্য করতে কাছে যেতেই ওরা আমাদের গ্রেফতারের হুমকি দেয়। অপরাধ জানতে চাইলে নিজেদের সেন্ট্রাল এক্সাইজের কর্মী বলে পরিচয়পত্র দেখিয়ে তেড়ে মারতে আসে।” কিন্তু প্রেস লেখা গাড়িতে তাঁরা কেন এলেন তার কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি শুল্ককর্মীদের কাছে। বাদুড়িয়া থানার ওসি সামসের আলি বলেন, “এ বিষয়ে কোনও পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে শুল্ক দফতরের কর্মীদের দাবি, তাঁরা ভুলবশত ওই গাড়ি ব্যবহার করেছিলেন। যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল হাবরার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার হাবরা থানায় ওই সংস্থার অধিকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন সংস্থার এজেন্টেরা। অভিযুক্ত ব্যক্তি মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ। তাঁর স্ত্রী স্বামীর নিখোঁজ ডায়েরি করেছে হাবরা থানায়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবরা শহরের স্টাফ কোর্য়াটার এলাকায় কয়েক বছর আগে অফিস খোলে সংস্থাটি। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আড়ালে ভুঁইফোড় আর্থিক সংস্থা হিসেবে কাজ করতে থাকে সংস্থাটি। এজেন্টদের অভিযোগ, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও টাকা ফেরত পাচ্ছেন না গ্রাহকেরা। ফলে গ্রাহকেরা আমাদের ভুল বুঝছেন। পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
|
দুষ্কৃতী খুনে অভিযুক্ত তিন |
এক দুষ্কৃতীকে খুনের অভিযোগ উঠল অন্য তিন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে খড়দহের পি কে বিশ্বাস রোডে। মৃতের নাম মহম্মদ সালাউদ্দিন আনসারি (৪৫)। পুলিশ জানায়, পি কে বিশ্বাস রোডে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকত সালাউদ্দিন। সোমবার সন্ধ্যায় একটি পারিবারিক বিবাদ মেটাতে যায় সে। অভিযোগ, তখন বাড়িওয়ালার দুই ছেলে নূর আলম এবং হালিম আনসারি ও মহম্মদ আসলাম নামে আর এক দুষ্কৃতী তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করে। পুলিশ জানিয়েছে, সালাউদ্দিনের নামে বিভিন্ন অসামাজিক কাজের অভিযোগ ছিল। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। |