|
|
|
|
কংক্রিটের সেতুর দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
কংক্রিটের সেতুর দাবি উঠল এগরা ১ ব্লকের বেনাচাকড়ি গ্রামের কুদি আপার ক্যানালের উপর। ব্লকের জেরখান, বরিদা, ছত্রি গ্রাম পঞ্চায়েত ও দাঁতন ২ ব্লকের পোরলদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষের নিত্য যাতায়াতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সেতু। অভিযোগ, গত এক বছর ধরে জীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকলেও তার সংস্কার পর্যন্ত করেনি ত্রিস্তর পঞ্চায়েত বা সেচ দফতর। ওই রাস্তা নিয়মিত ব্যবহার করে স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী, রোগী, ব্যবসায়ী-সহ সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যে সেতুর পাটাতন থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন ৮ গ্রামবাসী। বিপজ্জনকভাবে সেতুটি দাঁড়িয়ে থাকায় যে কোনও সময় আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা গ্রামবাসীর। |
|
এগরার বেনাচাকড়িতে ভগ্নপ্রায় সেতু। ছবি: কৌশিক মিশ্র। |
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তনা থেকে কুদি পর্যন্ত খালের উপর ১১০ ফুট লম্বা ও ৬ ফুট চওড়া ওই কাঠের সেতুটি ২০০৮ সালে করেছিল সেচ দফতর। খাল পাড়ে অবস্থিত বেনাচাকড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকার পোষিত গ্রন্থাগার, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থাকায় ওই সময় খালের গতিপথ পরিবর্তন করা হয়। তৈরি করা হয় সেতুও। ওই সেতু দিয়ে ছোট ছোট যান, যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ হয়। এলাকার অর্থনীতিতেও সেতুটি গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা জয়ন্তী শীট, শিক্ষক পঞ্চানন মিশ্রদের অভিযোগ, “সেতুর খুঁটিগুলির অধিকাংশই নষ্ট হয়েছে বা ভেঙে গিয়েছে। ভেঙে ভেঙে পড়ে যাচ্ছে পাটাতনও।” আশাকর্মী প্রতিমা দাস, গ্রামবাসী দিবাকর পয়ড়্যা ক্ষোভের সঙ্গে জানান, “সেতু দিয়ে পারাপার বন্ধ থাকায় মালপত্র-সহ নিয়মিত খাল পথেই যাতায়াত করতে হচ্ছে। এখন খাল শুকনো থাকায় তাও যাতায়াত করা যাচ্ছে। কিন্তু, বর্ষা নামলেই কয়েক কিলোমিটার ঘুরে যেতে হবে।”
এগরা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রেখা প্রধান বলেন, “নতুন সেতু তৈরি করার আর্থিক ক্ষমতা আমাদের নেই। বিষয়টি অনেক আগেই সেচ দফতরকে জানানো হয়েছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি সেতুটি সংস্কার করে, পারপার স্বাভাবিক রাখতে।” সেচ দফতরের কাঁথি বিভাগের এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র স্বপন পণ্ডিত বলেন, “দ্রুত সেতু সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|