|
|
|
|
একটি করে ওয়ার্ড বাড়ল মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দু’টি পুরসভায় ওয়ার্ড বাড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরে। মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম দু’টি পুরসভাতেই একটি করে ওয়ার্ড বেড়েছে। এই মর্মে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সরকার।
আগে মেদিনীপুর পুরসভায় ২৪টি ওয়ার্ড ছিল। এ বার তা হচ্ছে ২৫টি। আর ঝাড়গ্রাম পুরসভায় ওয়ার্ড ১৭ থেকে বেড়ে হচ্ছে ১৮টি। তবে কোনও একটি ওয়ার্ড ভেঙে নতুন ওয়ার্ড তৈরি হবে, নাকি একাধিক ওয়ার্ডের কিছু কিছু অংশ নিয়ে নতুন ওয়ার্ড গড়ে উঠবে, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি পুরসভাগুলি। মেদিনীপুরের পুরপ্রধান প্রণব বসু বলেন, “শুক্রবার বোর্ড মিটিং ডাকা হয়েছে। সেখানেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমাদের পুরসভার একাধিক ওয়ার্ড খুবই বড়। অন্তত ৫টি ওয়ার্ড বাড়লে ভাল হত।” ঝাড়গ্রাম পুরসভার পুরপ্রধান প্রদীপ সরকারের বক্তব্য, “সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। সেখান থেকে নিশ্চয়ই প্রস্তাব উঠে আসবে। তারপর বোর্ড মিটিং ডেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” |
পুরসভা |
ছিল |
হল |
মেদিনীপুর |
২৪ |
২৫ |
ঝাড়গ্রাম |
১৭ |
১৮ |
|
|
প্রশাসন সূত্রে খবর, মেদিনীপুর পুরসভাকে শুক্রবারের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানাতে হবে জেলা নির্বাচন আধিকারিক অর্থাৎ জেলাশাসককে। তারপর জেলাশাসক সাধারণ মানুষের মতামত নেবেন। কারও কোনও অভিযোগ বা পরামর্শ থাকলে তা লিপিবদ্ধ করবেন। তারপর ৩ এপ্রিলের মধ্যে ওই প্রস্তাব রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়ে দিতে হবে। আর ঝাড়গ্রাম পুরসভার ক্ষেত্রে জেলাশাসকের কাছে প্রস্তাব পাঠাতে হবে ১৫ মার্চের মধ্যে। জেলাশাসক রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠাবেন ১৭ এপ্রিলের মধ্যে। এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি।
এই দু’টি পুরসভাতেই ভোট আসছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরেই ভোটগ্রহণ হবে। মেদিনীপুর পুরসভার ভোট হওয়ার কথা জুনে, আর ঝাড়গ্রামের পুর-নির্বাচন হওয়ার কথা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে। তার আগেই ওয়ার্ড সংখ্যা বাড়ানোর প্রক্রিয়া মেটাতে চাইছে রাজ্য সরকার। ২০০১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, মেদিনীপুর পুরসভার ভোটার ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৭৬৯ জন। আর ঝাড়গ্রাম পুরসভার ভোটার ৫৩ হাজার ১৪৫ জন। বর্তমানে জনসংখ্যা বেড়েছে। সেই সূত্রে বেড়েছে পুর-পরিষেবার পরিসর। ফলে, ওয়ার্ড বাড়লে পরিষেবার মানোন্নয়ন হবে বলেই আশা। |
|
|
|
|
|