উঁচু পাঁচিলেও রক্ষা নেই, ফের হোম পালাল তরুণী
ফের নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে মেদিনীপুরের সরকারি হোম থেকে পালিয়ে গেল এক তরুণী। এই নিয়ে গত ছ’মাসে চার বার। সোমবার সন্ধে থেকে শম্পা গঙ্গোপাধ্যায় নামে বছর আঠারোর ওই তরুণীর খোঁজ মিলছে না। ২০০৫ সাল থেকে তিনি এই হোমে ছিলেন। রাতেই মেদিনীপুর কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তবে ওই তরুণীর খোঁজ মেলেনি।
বিদ্যাসাগর বালিকা হোম মেদিনীপুরের একমাত্র সরকারি হোম। রাঙামাটি এলাকার এই হোমে আদালতের নির্দেশে কোনও তরুণীকে অথবা অনাথ তরুণীদের রাখা হয়। বারবার এখান থেকে আবাসিক পালিয়ে যাওয়ায় হোমের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক অরিন্দম দত্ত বলেন, “কেন এমন ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
অতিরিক্ত জেলাশাসকের নির্দেশে হোমে যান সমাজকল্যাণ দফতরের জেলা আধিকারিক নীহাররঞ্জন সামন্ত এবং জেলা প্রকল্প আধিকারিক (আইসিডিএস) প্রবীর সামন্ত। তাঁরা হোম সুপার ও অন্য আধিকারিক-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। কী ভাবে ঘটনাটি ঘটল, জানার চেষ্টা করেন। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই দুই আধিকারিকের রিপোর্ট দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন অতিরিক্ত জেলাশাসক। কিন্তু কেন বারবার এমন ঘটনা ঘটছে? চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি হোম সুপার ভারতী ঘোষের সঙ্গে। তাঁর ফোন বেজে গিয়েছে।
ক’দিন আগে হোমের এক তরুণীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে কয়েকজন আবাসিকের বিরুদ্ধে। প্রহৃত তরুণীর মা লিখিত ভাবে অভিযোগ জানান। ওই ঘটনায় বিড়ম্বনায় পড়েন হোম কর্তৃপক্ষ। তার আগে এক মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হোমের এক আবাসিকের দেখভালে এসে নিখোঁজ হন অন্য এক আবাসিক। এই দুই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের হোম পালাল এক তরুণী।
গুড়াপ-কাণ্ডের পর রাজ্য জুড়ে হোমগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে শোরগোল পড়ে। মেদিনীপুরেও কিছু পদক্ষেপ করা হয়। তবে পরিস্থিতি যে পাল্টায়নি। মেদিনীপুরের এই হোম থেকে আগে যারা পালিয়েছে, তাদের অধিকাংশ রাতের অন্ধকারে পাঁচিল টপকে বাইরে গিয়েছে। অবস্থা দেখে পাঁচিল উঁচু করা হয়। এখন আর পাঁচিল টপকে পালানো সম্ভব নয়। হোমের জন্য দু’জন নৈশপ্রহরী রয়েছেন। এলাকায় একটি পুলিশ ক্যাম্পও রয়েছে। সেই ক্যাম্পে ৮ জন রোটেশনে থাকেন। তা সত্ত্বেও কী ভাবে তরুণীরা পালাচ্ছেন, সেই প্রশ্ন উঠছে। কয়েক মাস আগে এক তরুণী পালানোর পর তদন্তে হোমের দুই কর্মীর গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছিল জেলা প্রশাসন। তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে সমাজ কল্যাণ দফতরে আবেদন জানায় জেলা। সেই আবেদন এখনও কার্যকর হয়নি। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের মতে, “কর্মীদের সকলে তাঁদের দায়িত্ব ঠিকঠাক ভাবে পালন করলে এমন ঘটনা ঘটা অসম্ভব।”

হোম-ছুট অন্য একজন ফিরল
হোম থেকে এক তরুণী পালানোর দিনই হদিস মিলল হোম-ছুট আর এক তরুণীর। পিঙ্কি দাস নামে বছর একুশের ওই তরুণীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মেদিনীপুর বিদ্যাসাগর বালিকা হোমের আবাসিক পিঙ্কি গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিল। ওই দিন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্য এক আবাসিকের দেখভাল করতে এসেছিল সে। পরে হাসপাতাল থেকেই পালিয়ে যায়। কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ জানান হোম কর্তৃপক্ষ। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাতে মেদিনীপুর থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হলে আদালত ফের তাকে হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.