কোভারম্যান্সের ভারত হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
স্টেডিয়াম ভর্তি করে আসবেন মায়ানমার সমর্থকেরা। হাজার কুড়ি তো আসবেনই। চিৎকার, ভেপু, কাগজের টুকরো উড়িয়ে চাইবেন ঘরের মাঠে জাতীয় দলকে উদ্দীপ্ত করতে। কিন্তু উইম কোভারম্যান্সের ভারত যে ভাবে তেতে রয়েছে, তাতে কি এ সবে সুনীল-জুয়েলদের মনোবল ভাঙা সম্ভব?
এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের মূলপর্বে যাওয়ার শেষ লড়াইয়ে নামার আগে ইতিমধ্যেই মায়ানমারের বিরুদ্ধে অ্যাডভান্টেজ ভারত। সুনীল ছেত্রী-রহিম নবিদের ম্যাচটা ড্র করলেই মলদ্বীপে খেলার ছাড়পত্র হাতে এসে যাবে। অন্য দিকে মায়ানমারকে বুধবারের ম্যাচে জিততেই হবে। উত্তেজক এই পরিস্থিতিতে উদ্যোক্তা দেশের শক্তি যদি হয়, নিজের মাঠ এবং জনসমর্থন, তা হলে ভারতের শক্তি দলীয় সংহতি। টিমের বাঁধুনি শক্তপোক্ত করতে চালু হয়েছে, ‘আলুভাতে স্ট্র্যাটেজি’! মায়ানমারে ফোন করে জানা গেল, দুই বঙ্গসন্তান সুব্রত পাল আর জুয়েল রাজা প্রতিদিন লাঞ্চ এবং ডিনার টেবিলে আলু সেদ্ধ করে এনে নুন-লঙ্কা দিয়ে মাখছেন। আর সবার প্লেটে দিয়ে আসছেন নিজেরাই। পঞ্জাব, কেরল, মণিপুরসবাই চেটেপুটে খাচ্ছে। এ দিন তা খেয়ে উচ্ছ্বসিত ভারতীয় দলের ডাচ কোচও। যিনি এ দিন বলেছেন, “ড্র ভেবে নিয়ে আমরা খেলতে নামব না। ড্র করতে নামলেই বিপদ হতে পারে। মায়ানমার শক্তিশালী টিম। কিন্তু আমরাও জিততে এসেছি। এক মুহূর্তও আত্মতুষ্ট হলে চলবে না।”
মায়ানমারের সঙ্গে ভারতের লড়াই হয়েছে ২১ বার। ভারত জিতেছে ১০ বার। ড্র ৪টি ম্যাচ। গত প্রি-অলিম্পিকে শেষ বার কিন্তু জিতেছিল মায়ানমারই। এ বার কী হবে? মায়ানমারের খেলার সিডি দেখিয়ে এ দিন প্রতিপক্ষের কোথায় গলদ তা টিম মিটিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোভারম্যান্স। তাঁর ফুটবলাররা নানা ভাবে দেখছেন বুধবারের ম্যাচকে। যেমন সুনীল ছেত্রী। গুয়ামের বিরুদ্ধে দু’গোল করে আই এম বিজয়নকে ছুঁয়েছেন। এ বার ভারত অধিনায়কের টপকে যাওয়ার সুযোগ ভাইচুং ভুটিয়াকে। দরকার আরও দু’গোল। পর্তুগাল থেকে ফিরে চার্চিলে সই-করা সুনীল বলছেন, “ওদের দর্শকদের নিয়েই চিন্তা। যে কেউ দর্শক সমর্থন পেলে তেতে ওঠে।” আর এই টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলা মেহতাব হোসেন বলেন, “আগের দুটো ম্যাচে যে ভুল হয়েছে সেগুলো এই ম্যাচে করা যাবে না। প্রতিটা বলের জন্য লড়তে হবে। দু’শো শতাংশ দিতে হবে।” আর এক সিনিয়র রহিম নবি বলছেন, “মায়ানমারের হারানোর কিছু নেই। ওদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে। আমাদের জেতার জন্য লড়তে হবে।” সুব্রত পাল আবার পাঁচ বছর আগের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। “হায়দরাবাদে সে বার আমরা তুর্কমেনিস্তানকে এ রকম পরিস্থিতিতেই হারিয়ে মূলপর্বে গিয়েছিলাম।”
হায়দরাবাদের পুনরাবৃত্তি হবে কি না, সময় বলবে। তবে কোভারম্যান্সের ভারত জিততে মরিয়া। |