জুনে অ্যাসেজ শুরুর আগে আয়ার্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে যে চার দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দল সেই ম্যাচে ক্লার্কের দলের ‘বি গ্রেড’ ক্রিকেটারদের খেলালে কেমন হয়? পাঠকদের কাছে এই নিয়ে মতামত জানতে চেয়েছে অস্ট্রেলীয় সংবাদপত্র ‘হেরাল্ড সান’। বক্তব্যটা পরিষ্কার, এই দলের ক্রিকেটাররা বড়জোর ‘এ’ দলে খেলার মতোই।
হায়দরাবাদে ভারতের কাছে ইনিংসে হেরে টেস্ট সিরিজে ০-২ পিছিয়ে পড়ার পর মঙ্গলবারের হারকে ‘হায়দরাবাদ হরর’ নাম দিয়েছে অস্ট্রেলীয় মিডিয়া। তাদের মোদ্দা বক্তব্য, এর চেয়ে খারাপ সময় সম্ভবত অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে আর কখনও আসেনি। ‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান’-এর ম্যাচ রিপোর্টে লেখা হয়েছে, “চেন্নাইয়ে আট উইকেটে হারের পর নির্বাচকরা প্ল্যান ‘এ’ ছেড়ে প্ল্যান ‘বি’-তে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। লড়াইয়ের কথাও শোনা গিয়েছিল। কিন্তু গর্ত ছেড়েই বেরোতে পারলেন না অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা।”
রবি শাস্ত্রী যে অস্ট্রেলিয়ার এই ভারত সফরকে ‘দুঃস্বপ্নের সফর’ বলেছেন, তা ফলাও করে লিখেছে ‘সিডনি মর্নিং হেরাল্ড’। লেখা হয়েছে, “মনে হচ্ছে, এই দলটাই ভারতে আসা অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে দূর্বল দল। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা স্পিনারদের বিরুদ্ধে যা সব শট খেলছে, তা ভয়ঙ্কর।” প্রধান ক্রীড়া প্রতিবেদক রিচার্ড হাইন্ডস লিখেছেন, “টপ অর্ডারে সাত ব্যাটসম্যানের মধ্যে ছ’জনকেই দেখে মনে হল, তাঁরা এই ভূমিকার জন্য অডিশন দিচ্ছেন।” মন্তব্য করা হয়েছে, “এ বার অধিনায়ক ক্লার্ককে শক্ত হাতে হাল ধতে হবে। ভাল মানুষ ইমেজ ছেড়ে না বেরোলে আরও বিপদ আসন্ন।”
স্পিনার নাথন লিয়ঁকে হায়দরাবাদে বসিয়ে রাখার তীব্র সমালোচনা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়। ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ লিখেছে, “২০ টেস্টে ৬৫ উইকেট পাওয়া লিয়ঁ কী করে দু’টেস্টে তিন উইকেট পাওয়া ডোহার্টির চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেলেন, দূর্বোধ্য বিষয়।” ‘হেরাল্ড সান’-এর বক্তব্যেই অস্ট্রেলীয় সংবাদ মাধ্যমের মনোভাবটা স্পষ্ট, “এমন চললে জুলাইয়ে অ্যাসেজ জয় শেন ওয়ার্নের অস্ট্রেলিয়া দলে ফেরার মতোই অলীক হবে।”
|