দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকেই পাঁশকুড়ার দক্ষিণ চাঁচিয়াড়া এলাকায় একটি গো-শালা রয়েছে। পুরনো সেই গো-শালার জমিতে প্রাণিসম্পদ প্রশিক্ষণ কলেজ গড়তে উদ্যোগী হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ। সম্প্রতি জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিকাশ স্থায়ী সমিতির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন জানান, চাঁচিয়াড়ায় নতুন করে গো-শালা তৈরি ও একটি প্রাণিসম্পদ প্রশিক্ষণ কলেজ গড়ার জন্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা চেয়ে রাজ্য প্রাণিসম্পদ দফতরের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।”
জেলা পরিষদ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, পাঁশকুড়া স্টেশন থেকে ৪ কিলোমিটার পূর্বে দক্ষিণ চাঁচিয়াড়া মৌজায় স্থানীয় বাসিন্দাদের দান করা প্রায় ৬ একর জায়গায় একটি গো-শালা গড়ে ওঠে স্বাধীনতার আগে। উদ্দেশ্য ছিল গরুর চিকিৎসা, প্রাকৃতিক প্রজনন ও গরুর রক্ষণাবেক্ষণ। পাঁশকুড়ার ধুলিয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা তথা শিক্ষক রাখালচন্দ্র ডোগরার উদ্যোগে গড়ে উঠেছিল এই গো-শালা। এটির পরিচালনায় গঠিত ট্রাস্টের প্রথম সম্পাদক ছিলেন রাখালবাবু, সভাপতি ছিলেন হ্যামিল্টন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্রুতিনাথ চক্রবর্তী। পরবর্তীকালে স্বাধীনতা সংগ্রামী অজয় মুখোপাধ্যায়, সুশীলকুমার ধাড়া, শ্যামাদাস ভট্টাচার্য প্রমুখরাও ওই গো-শালার সঙ্গে যুক্ত হন।
এক সময় এই গো-শালায় ছিল প্রচুর সংখ্যক গরু। এলাকার বাসিন্দাদের গরুর চিকিৎসা, প্রাকৃতিক উপায়ে প্রজননের জন্য পঞ্জাব, হরিয়ানা থেকে উন্নত প্রজাতির গরুও নিয়ে আসা হত। এখনও সেখানে ট্রাস্টের পরিচালনাধীন একটি ছোট্ট গো-শালা চলছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ স্থায়ী সমিতির কর্মাধক্ষ্য বুদ্ধদেব ভৌমিক জানান, “পাঁশকুড়ায় গো-শালার ওই জায়গায় একটি ভেটেনারি টিচিং ইন্সটিটিউট গড়ে তোলার জন্য আমাদের কাছে প্রস্তাব এসেছিল। জেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের আধিকারিক ও জেলা পরিষদের তরফে এলাকা পরিদর্শন করে প্রস্তাব খতিয়ে দেখার পর জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতির বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।” |