|
|
|
|
মণিপুর থেকে সরছে সেনাবাহিনী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
আফস্পা প্রত্যাহার করা না হলেও চানুর রাজ্য থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়া হতে পারে। সীমান্ত ও রাজ্যের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার ব্যবস্থা ঢেলে সাজা হচ্ছে মণিপুরে। এতদিন মণিপুর ও নাগাল্যান্ডের সঙ্গে মায়ানমারের সীমান্ত প্রহরার ভার ছিল আসাম রাইফেল্স-এর হাতে। কিন্তু রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রে খবর, এ বার তাদের জায়গায় বিএসএফ-ই সীমান্ত সুরক্ষার ভার নিতে চলেছে।
রাজ্যের ভিতরে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে সেনাবাহিনীর ৫৭ মাউন্টেন ডিভিশন। সেনাসূত্রে খবর, পরের বছর থেকে সেনাবাহিনীকে অভ্যন্তরীন নিরপত্তার দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিয়ে আসাম রাইফেল্সকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হবে। বর্তমানে এক মেজর জেনারেলের অধীনে তামেংলং, চূড়চাঁদপুর ও বিষ্ণুপুরে থাকা সেনাবাহিনীর তিনটি ব্রিগেড মণিপুরের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দেখভাল করে। ইতিমধ্যে, গোটা রাজ্যের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আসাম রাইফেল্স-এর ২৬টি নতুন ব্যাটেলিয়ন গড়ে তোলা হচ্ছে। সম সংখ্যাক ব্যাটেলিয়ন বাড়ছে বিএসএফ বাহিনীতেও।
পাশাপাশি, সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের নেতৃত্বে এফেড্রিন জাতীয় ওষুধ বিদেশে পাচারের যে চক্র রাজ্যে ধরা পড়েছে তার তদন্ত ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মণিপুর মন্ত্রিসভা। কাল মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহের উপস্থিতিতে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানেই বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী এম ওকেন্দ্র জানান, প্রথমে মামলাটি ‘নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো’-কে হস্তান্তর করার প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু এনসিবি জানায়, কেবলমাত্র মাদক-সহ ধরা পড়লেই তারা তদন্তভার নিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে কর্নেল অজয় চৌধুরী ও তার ছয় সঙ্গী ওষুধ-সহ গ্রেফতার হয়েছেন। তাই সব দিক বিবেচনা করে সিবিআইকে গোটা ঘটনাটি তদন্ত করার ভার দেওয়া হচ্ছে বলে ওকেন্দ্র জানান। |
|
|
|
|
|