|
|
|
|
আরও এক মামলায় রেহাই |
রাহুলের মোকাবিলায় বিজেপির তাস বরুণও |
দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় • নয়াদিল্লি |
রাহুল গাঁধী যখন আগামী দশ বছরে কংগ্রেসের চেহারা বদলে দেওয়ার কথা বলছেন, সেই সময় বিজেপিতে আরও বড় দায়িত্বের প্রস্তুতি নিচ্ছেন গাঁধী পরিবারের আর এক তরুণ নেতা। বরুণ গাঁধী।
বিজেপির বক্তব্য, সঞ্জয় ও মেনকা গাঁধীর পুত্র বরুণ অনেক দিন ধরেই উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব তাঁর হাতে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। আডবাণী থেকে রাজনাথ সিংহ সকলেরই বক্তব্য, লোকসভায় উত্তরপ্রদেশে ভাল ফল না করলে দিল্লি দখল স্বপ্নই থেকে যাবে। তা মাথায় রেখে উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব এখনই না দিলেও রাজনাথ নতুন টিমে বরুণকে সাধারণ সম্পাদক অথবা সহ-সভাপতি করার কথা ভাবছেন। গত লোকসভা ভোটে বিদ্বেষমূলক বক্তৃতার অভিযোগে দ্বিতীয় মামলা থেকে আজ অব্যাহতি পেয়েছেন বরুণ। বিজেপির বক্তব্য, এর পরে দলে বরুণের গুরুত্ব বাড়তে পারে।
গত সপ্তাহেই এই সংক্রান্ত প্রথম মামলাটি থেকে রেহাই পান বরুণ। দ্বিতীয় মামলাতেও ছাড় পাওয়ার পর তিনি বলেন, “কঠিন সময়ে যাঁরা পাশে ছিলেন, তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।” বরুণ-ঘনিষ্ঠরা বলছেন, সঙ্ঘ নেতৃত্ব ও রাজনাথের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা হয়েছে বরুণের। সঙ্ঘ নেতৃত্ব মনে করছেন, রামমন্দির আন্দোলন-সহ নানা প্রশ্নে বিজেপির ভূমিকায় হিন্দু ভোটব্যাঙ্কের একটা বড় অংশ ক্ষুব্ধ। তাই গো-বলয়ে নরম হিন্দুত্বের কৌশল নেওয়ার চিন্তা রয়েছে দলের। সঙ্ঘের মতে, বরুণ বাক-সংযম রাখতে পারলে দল এই কাজে তাঁকে ব্যবহার করতে পারে। তা ছাড়া, রাহুলের মোকাবিলায় বিজেপির তুরুপের তাস হতে পারেন তিনি। দলকে বরুণ জানান, লোকসভা ভোটে বর্তমান কেন্দ্র পিলিভিটের বদলে রাহুলের কেন্দ্র অমেঠীর পাশে সুলতানপুরে দাঁড়াতে পারেন তিনি। সুলতানপুর তাঁর বাবার রাজনৈতিক ভূমি। সেই এলাকা তাঁর যথেষ্টই পরিচিত।
মোদীকে দলের মুখ করার কথা ভাবলেও বিজেপির আশঙ্কা গুজরাতের বাইরে তিনি কতটা সফল হবেন, তা নিয়ে। প্রতিটি রাজ্যে প্রয়োজন কিছু নেতার, যাঁরা স্থানীয় ভোট টানবেন। উত্তরপ্রদেশে বরুণই অস্ত্র হতে পারেন। |
|
|
|
|
|