অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত শিয়ালদহের সূর্য সেন মার্কেট এখন কোনও ভাবেই খুলতে দেওয়া যাবে না। রাজ্য সরকারের নির্দেশে গঠিত বিশেষজ্ঞ দল মঙ্গলবার এ কথা সাফ জানিয়ে দিলেন। এ দিনই প্রথম ওই মার্কেটে যান তাঁরা। ওই দলে ছিলেন দমকলের এডিজি তপন ঘোষ-সহ পুরসভা, কলকাতা পুলিশ ও সিইএসসি-র অফিসারেরা। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে অগ্নিদগ্ধ বাড়িটি ঘুরে দেখেন তাঁরা। পরে পুরসভার এক পদস্থ অফিসার বলেন, “ওই মার্কেটের দোকান চালু করার এখন কোনও প্রশ্নই নেই।” বিশেষজ্ঞ দলের ওই সিদ্ধান্তে চিন্তিত ওই মার্কেটের ছোট ব্যবসায়ীরা। তাঁদের বক্তব্য, এ বার কী ভাবে সংসার চলবে, তা ভেবে হয়রান তাঁরা।
দোকান খুলতে বাধা কোথায়?
দমকলের এক পদস্থ অফিসার বলেন, “মার্কেটের মেজেনাইন ফ্লোর খুবই নিচু। তার মধ্যেই গাদাগাদি করে মাল রাখা হত। এ সব আর চলতে দেওয়া যায় না।” তিনি জানান, কোথাও কোনও অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা নেই। ঢোকা ও বেরোনোর পথ খুবই সঙ্কীর্ণ। সিঁড়িও প্রয়োজনের তুলনায় কম। তিনটি বাড়ির জন্য তিনটি সিঁড়ি থাকলেও ব্যবহার করা হত একটি। ওই সবই বাড়াতে হবে বলে জানান ওই অফিসার।
একই সঙ্গে সেখানে জলের জোগান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিশেষজ্ঞ দল। তাঁদের মতে, হঠাৎ করে আগুন লাগলে সাময়িক ভাবে তা মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয় জলটুকুও নেই ওই মার্কেটে। মাটির নীচে জলের জোগান বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
ওই দলের এক সদস্যের কথায়, “যে সব পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তা মেনে একটি প্ল্যান জমা দেওয়ার জন্য মার্কেট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। সেই প্ল্যান জমা পড়ার পরে বাকি কাজ শুরু করা হবে।”
এ দিকে এ দিন শহরের আরও ৪২টি বাজার ঘুরে দেখলেন পুরসভার অফিসারেরা। সোমবারের মতো এ দিনও দক্ষিণ ও উত্তর কলকাতার একাধিক মার্কেটের হাল দেখে আতঙ্কিত তাঁরা। এক অফিসারের কথায়, “আগামী দু’তিন দিনের মধ্যে এক-একটি মার্কেটের রিপোর্ট জমা দেওয়া শুরু হবে।” |