পড়তে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল পনেরো বছরের এক কিশোর। ঘটনার চার দিন পরে ফরাক্কা স্টেশন থেকে তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই কিশোরকে অপহরণের অভিযোগে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজে যুক্ত দুই ঠিকা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে পড়ে ফেরার সময়ে নিউ টাউন বাসস্টপ থেকে ওই কিশোরকে অপহরণ করে কয়েক জন যুবক। ওই কিশোরের বাবা এক জন বড় ব্যবসায়ী। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ছেলে বাড়ি না ফেরায় পরদিন তাঁরা নিউ টাউন থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। অভিযোগ, ওই রাতেই কিশোরটির বাড়িতে ফোন করে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। তবে পুরো টাকা না দেওয়া হলেও কয়েক লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। |
নিউ টাউন থানার ওসি অশেষবিক্রম দস্তিদার জানান, বিষয়টি জানতে পেরে নিউ টাউন থানা ও বিধাননগর কমিশনারেট যৌথ ভাবে তদন্ত শুরু করে। ১ মার্চ ফরাক্কা স্টেশনে এক কিশোরকে সন্দেহজনক ভাবে ঘুরতে দেখে তাকে আটক করে স্থানীয় পুলিশ। ওই কিশোরের পরিচয় জানার পরে ফরাক্কা থেকে নিউ টাউন থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ওই কিশোরকে ভাগলপুরে রাখা হয়েছিল বলে পুলিশ জেনেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই কিশোরকে উদ্ধারের পরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গোয়েন্দাদের একটি দল ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ জেলায় যায়। সেখানে বারহাবরা থানার মহেশমাটি এলাকা থেকে ৩ মার্চ, রবিবার আতিকুর রহমান নামে এক যুবক ধরা পড়ে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা ইসলামপুরে সোহেল হোসেন নামে আর এক যুবকের বাড়িতে হানা দেন। তাকে পাওয়া না গেলেও কয়েক লক্ষ টাকা মেলে তার বাড়ি থেকে।
পুলিশ জানায়, আতিকুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ৪ মার্চ দমদম স্টেশন অঞ্চলের একটি বাড়ি থেকে সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়। আটক হয়েছে একটি গাড়িও। পুলিশ জেনেছে, ওই গাড়ি করেই কিশোরটিকে অপহরণ করা হয়। তদন্তকারীদের অনুমান, অপহরণকারীদের দলে স্থানীয় কেউ আছে। বিধাননগরের গোয়েন্দা প্রধান অর্ণব ঘোষ বলেন, “আরও পাঁচ জন এই ঘটনায় যুক্ত।” ধৃত দু’জনকে মঙ্গলবার বারাসত আদালত ১৪ দিনের জেল হেফাজত দেয়। |