সীমান্তে ভারতীয় সেনা হত্যা নিয়ে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ কার্যত চ্যালেঞ্জের মুখে। তার মধ্যেই রয়েছে হায়দরাবাদের সাম্প্রতিক বিস্ফোরণের উত্তাপ। এর মধ্যেই পাক প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরফের ভারতে তীর্থ-সফরের অনুরোধ কিছুটা অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে দিল্লিকে।
এখনও পর্যন্ত স্থির রয়েছে, আশরফ দিল্লি আসবেন না। অনুরোধ অনুযায়ী, আগামী শনিবার তাঁকে জয়পুর থেকে অজমেঢ় শরিফে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকেই ইসলামাবাদে ফেরত যাবেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, তীর্থদর্শনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে ঘরোয়া ভাবে বৈঠক করার জন্য পাক প্রধানমন্ত্রীর তরফে একটা চাপ ছিল। গত বছর ঠিক এ ভাবেই ছেলেকে নিয়ে তীর্থ-কূটনীতি সেরে গিয়েছিলেন পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি।
কিন্তু এ বছর পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। সংসদ চলছে। এখনও পর্যন্ত মুম্বই সন্ত্রাসের মূল পান্ডাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি ইসলামাবাদ। তা ছাড়া সীমান্তে হিংসার ঘটনায় পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ গোটা দেশ। হায়দরাবাদের বিস্ফোরণেও পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনের দিকেই আঙুল উঠেছে।
এই অবস্থায় মনমোহন-আশরফের করমর্দনরত ছবি যে কংগ্রেস সরকারকে প্রবল সমালোচনার মুখে ফেলবে, তা ভালই বোঝেন দলের সিংহভাগ নেতা।
অন্য দিকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিও যথেষ্ট ঘোরালো। সে দেশে নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, হিংসা বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। সক্রিয় হয়ে উঠছে পাক সেনা এবং তাকে ঘিরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলও। এই অবস্থায় আসিফ আলি জারদারি সরকারের তরফে চেষ্টা চলছে, যে ভাবেই হোক ভারতকে আলোচনার টেবিলে টেনে এনে কাশ্মীরকে ফের প্রাসঙ্গিক করে তোলা। কিন্তু ইসলামাবাদের এই প্রয়াসে সাড়া দিতে নারাজ কেন্দ্র। তবে পাক প্রধানমন্ত্রীর তরফে আসা তীর্থদর্শনের অনুরোধ অগ্রাহ্য করা সম্ভব নয়। তাই সেই সফরকে যতটা সম্ভব কম গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। |