মনোরোগীদের সঙ্গে কী আচরণ করবেন, কী ভাবে কথা বলবেনচিকিৎসকদের তা শেখানোর জন্য এ বার ব্লক স্তরে প্রশিক্ষণ শিবির করবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর। মেডিক্যাল অফিসার (এমও), নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে উপস্থিত থাকবেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা। ‘ডিস্ট্রিক্ট মেন্টাল হেলথ্ প্রোগ্রাম’ কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে এই শিবির করার জন্য চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মেদিনীপুরে বিএমওএইচদের নিয়ে এক বৈঠক রয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা জেলার ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ত্রিদিব দাসের। সেখানে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
আগে খড়্গপুর এবং ঝাড়গ্রাম মহকুমা হাসপাতালে ‘ডিস্ট্রিক্ট মেন্টাল হেলথ্ প্রোগ্রাম’ কর্মসূচিতে এক দিন করে শিবির হত। ঝাড়গ্রাম মহকুমা হাসপাতাল, জেলা হাসপাতালে উন্নীত হওয়ার পর শিবিরটি বন্ধ হয়ে যায়। এ বার ব্লক স্তরে এই শিবির করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। শুরুতে চন্দ্রকোনা, বেলদা, দ্বারিগেড়িয়া এবং গোপীবল্লভপুর হাসপাতালে শিবির করার পরিকল্পনা রয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “আর পাঁচ জন রোগীর সঙ্গে যে আচরণ করা যায়, মনোরোগীদের সঙ্গে সেই আচরণ চলে না। বিশেষ করে উত্তেজনার মুহূর্তে। মনোরোগীদের সঙ্গে কী ভাবে কথা বলতে হয়, তাঁদের পরিবারের লোকেদের কী কী বিষয় সম্পর্কে সচেতন করা জরুরি, তা জানানোর জন্য ব্লক স্তরে প্রশিক্ষণ শিবির করা হবে।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ২০০৭ সাল থেকে এই কর্মসূচি চলছে। মানসিক রোগ সম্পর্কে সচেতন করার পাশাপাশি যাঁরা ওই রোগে আক্রান্ত, তাঁদের চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসাও কর্মসূচির লক্ষ্য। চিকিৎসকদের মতে, সঠিক সময় চিকিৎসা হলে মানসিক অবসাদগ্রস্তরাও ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন। ‘ডিস্ট্রিক্ট মেন্টাল হেলথ্ প্রোগ্রাম’ কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত মনোরোগ চিকিৎসক প্রসেনজিৎ বসাক বলেন, “আত্মহত্যার নানা কারণ থাকে। সামাজিক কারণের পাশাপাশি রয়েছে অর্থনৈতিক কারণও। এ ক্ষেত্রে মনোরোগীদের সঠিক সময় চিকিৎসা প্রয়োজন।” |