শামুকতলা সিধু কানহু কলেজে জমির সমস্যা মিটল। তিন বছর আগে ওই কলেজ চালু হলেও জমির সমস্যায় বাড়ি তৈরির কাজ থমকে যায়। তিন বছর ধরে সাঁওতালপুর মিশন হাই স্কুলের কয়েকটি ঘরে অস্থায়ী ভাবে কলেজের পঠনপাঠন চলছে। অবশেষে এক অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মী আদিবাসী মহিলা কলেজের বাড়ি তৈরির জন্য ৫ একর জমি দান করায় সমস্যা মেটে। কলেজ অর্গানাইজিং কমিটির সদস্য রতন শর্মা বলেন, “সরোজিনী টুডু নামে এক মহিলা পাঁচ একর জমি দান করায় সমস্যা মিটেছে।” মহকুমাশাসক অমলকান্তি রায় বলেন, “দ্রুত বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।”
শামুকতলা সিধু কানহু কলেজের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ৩০৫ জন। গত তিন বছর ধরে হাই স্কুলে পঠনপাঠন চলছে। স্থায়ীভবন নির্মাণের জন্য শিক্ষা দফতর ৪৮ লক্ষ, বিধায়ক তহবিল থেকে ১৫ লক্ষ ও সাংসদ তহবিল থেকে ১৫ লক্ষ মিলিয়ে ৭৮ লক্ষ টাকা মিলেছে। পূর্ত বিভাগকে বাড়ি তৈরির জন্য ওই টাকা দেওয়া হয়। শামুকতলা বস্তি এলাকায় পাঁচ একর জমিও মেলে। কিন্তু ওই জমির মধ্যে একটি মাঠ থাকায় বাড়ি তৈরির কাজে জটিলতার সৃষ্টি হয়। অবশেষে সরোজিনী দেবী এগিয়ে আসেন। প্রায় ৭ একর জমির মালিক ওই অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মী। তাঁর নিজস্ব ধানের মিলও রয়েছে। তিনি বলেন, “জমির জন্য কলেজ তৈরি হবে না এটা হতে পারে না। তাই ১৫ বিঘা জমি দান করেছি। এটা এমন কিছু নয়। কর্তৃপক্ষকে বলেছি কলেজ চালু হয়ে গেলে আমর এক নাতনির কাজের সুযোগ করে দিতে পারলে ভাল হয়।” বৃহস্পতিবার ওই জমিতে কলেজের সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়। কলেজের অর্গানাইজিং কমিটির সম্পাদক সচিত্রমোহন চন্দ বলেন, “আমরা ওই মহিলাকে বলেছি সুযোগ থাকলে নিশ্চই চেষ্টা করা হবে। তিনি যে কাজ করলেন তা শামুকতলার মানুষ কোনও দিন ভুলবে না।” |