পুনর্গণনাতে তৃণমূল প্রার্থীকে আরও বেশি ভোটে হারিয়ে জয়ী হলেন শিলিগুড়ি পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাম কাউন্সির মায়াদেবী পাসোয়ান। শুক্রবার শিলিগুড়ি আদালতে পুনর্গণনা হয়। আদালত সূত্রের খবর, ২০০৯ সালে তিনি ৪০ ভোটে জয়ী হন। এবারে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬। বাম প্রার্থী বলেন, “জিতব এ বিষয়ে নিশ্চিত ছিলাম।” তৃণমূল প্রার্থী অজন্তা বিশ্বাসের আইনজীবী সন্দীপ মণ্ডল বলেন, “গণনার জন্য ইভিএমগুলি আনা হয়েছে তার নম্বর মিলিয়ে দেখা হবে। নম্বর না মিললে আমরা উচ্চ আদালতে যাব। এদিনই পুনর্গণনার মামলাটি শিলিগুড়ি আদালতের জেলা ও অতিরিক্ত দায়রা জজ (সেকেন্ড) সুব্রত হাজরা’র (সাহা) এজলাসে ওঠে। মামলার রায় ঘোষণা হয়নি। রাজ্যের প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “আইন অনুসারে পুরসভার মামলা সাধারণত জেলা আদালতে হয়। কিন্তু দিনের পর দিন অপপ্রচার করা হয়েছে আমরা নাকি জোর করে জিতেছিলাম। এমনকী ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে আমার নামেও বদনাম করা হয়েছে। এইসব দিক মাথায় রেখেই আমরা শিলিগুড়ি আদালতে মামলায় অংশ নিই। আজকের রায়ে আমরা খুশি।” পাশাপাশি একজনকে মহিলা কাউন্সিলরকে এই ধরণের ভিত্তিহীন মামলা করে মানসিক হেনস্থার বিরুদ্ধে আইনি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না তা দলের তরফে দেখা হচ্ছে বলে অশোকবাবু জানান। ২০০৯ সালে শিলিগুড়ি পুর ভোটের গণনায় ২০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থীর পরাজয়ের পর কারচুপির অভিযোগ করে আদালতের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। বামেদের আইনজীবী শুভাশিস সাহা অভিযোগ করেন, মামলার বিষয়বস্তু অনুযায়ী জেলা আদালতে তা নিষ্পত্তি হওয়ার কথা ছিল। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক চাপে মামলা শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়।” গণতান্ত্রিক আইনজীবী সঙ্ঘের পক্ষে শম্পিতা সান্যাল বলেন, “মামলার নিষ্পত্তির পরই পুনর্গণনার দাবি করেছিলেন বাম প্রার্থী। কিন্তু তা অগ্রাহ্য করেই পুনর্গণনা করা হয়।” আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত রাউন্ড গণনায় মায়া দেবী পান ১৯৪৪টি ভোট। তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছেন ১৮৪৮টি ভোট। ২০০৯ সালে বাম প্রার্থী পেয়েছিলেন ১৯১৬টি ভোট। তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছিলেন ১৮৭৬টি ভোট। |