তিস্তা সেচ প্রকল্পের বা-হাতি খালের শাখা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে মালবাজারের মৌলানি এলাকায়। ওই ঘটনায় খুশির আবহ তৈরি হয়েছে। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে চারটি শাখা খাল তৈরি করা হবে। কাজ শেষ হলে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমি সেচের আওতায় আসবে। তিস্তা সেচ প্রকল্পের মুখ্য বাস্তুকার সুকুমার নস্কর বলেন, “তিস্তা সেচ প্রকল্পের সেচ সেবিত এলাকা সম্প্রসারণের জন্য শাখা ক্যানাল তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে।”
বা-হাতি খাল দিয়ে এতদিন সেচের জল গেলেও শাখা খাল না-থাকায় জলের ছিটেফোঁটা পায়নি মৌলানি এলাকার চাষিরা। সেচের সমস্যার জন্য ওই গ্রামে শীতে সবজি চাষ কমে যায়। আবাদি জমিতে চা বাগান তৈরির ঝোঁক বেড়ে যায়। বিভিন্ন মহলে সেচের জলের ব্যবস্থা করার আবেদন জানিয়ে কোনও লাভ না হওয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয় চাষি মহলে। |
অবশেষে সেচ দফতরের দাবি পূরণে উদ্যোগী হওয়ায় স্বস্তি ফিরে আসে গ্রামে। সেচ কর্তারা জানান, বা হাতি খাল জলঢাকা নদীতে মিশবে। তার আগে রামসাই ও আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৬নং শাখা ক্যানাল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
জলপাইগুড়ির তিস্তা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী বাস্তুকার শ্যামল আদিত্য বলেন, “মৌলানি এলাকায় ১২ কিমি শাখা খাল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ৩১ জাতীয় সড়কের নীচ দিয়ে যাবে। ওই কাজ জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে করা হবে।” চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে শাখা খাল তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। মৌলানি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহাদেব রায় বলেন, “শাখা খালের কাজ শেষ হলে মৌলানি এলাকা কৃষি উৎপাদনে অনেক এগিয়ে যাবে।” সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বা হাতি খালের পাশাপাশি তিস্তা-মহানন্দা খালের পরিষেবা বাড়ানোর উপরেও জোর দেওয়া হয়। পুরনো স্লুইস গেট, লাইনিং মেরামত এবং করতোয়া থেকে তালমা পর্যন্ত শাখা খালের সংস্কার করা হবে। ওই কাজের জন্য নাবার্ড থেকে ৬ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। |