গত দুই বছরে কাজের বরাতের সংখ্যা কমতে থাকলেও বেড়েছে পুর্ণনবীকরণ ফি। গত আর্থিক বছরে এক শ্রেণির ঠিকাদারদের কপালে জোটেনি একটি কাজের বরাতও। এই অবস্থায় নবীকরণ ফি কমানো, বড় কাজকে ভেঙে ছোট ছোট করা ছাড়া একাধিক দাবিতে সরব হলেন শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের তালিকাভুক্ত কন্ট্রাক্টরস ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁরা ওই দাবিগুলি তুলেছেন। বৃহস্পতিবার ঠিকাদারেরা তাঁদের সমস্যাগুলি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি পাসকেল মিনজের সঙ্গে দেখা করে জানিয়েছেন।
সংগঠনের সম্পাদক চয়ন সেনগুপ্ত বলেন, “মহকুমা পরিষদে ধীরে ধীরে কাজ কমে যাচ্ছে। আর্থিক বরাদ্দ কম আসলে। অনেক প্রকল্পের কাজ জেলাশাসকের দফতর, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর থেকে হচ্ছে। এই অবস্থায় আমাদের বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু নবীকরণ ফি কমেনি। আরও কিছু সমস্যায় পড়েছি।” চয়নবাবু জানান, সভাধিপতিকে সব বলেছি। উনি বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। দেখা যাক কী হয়! আর সভাধিপতি বলেন, “সমস্যাগুলির কথা জানি। বরাদ্দ কম আসায় কাজ কম হচ্ছে। এতেই সমস্যা বেড়েছে। বোর্ড মিটিঙে ঠিকাদারদের বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হবে।”
ঠিকাদারেরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে মহকুমা পরিষদে ১২৮ জন তালিকাভুক্ত ঠিকাদার আছেন। এরমধ্যে প্রথম শ্রেণির ৫১, দ্বিতীয় শ্রেণির ৬১ এবং তৃতীয় শ্রেণির ১৬ জন। মালদহ, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদে তিনটি শ্রেণির ক্ষেত্রে নবীকরণ ফি ৩০০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে রয়েছে। কিন্তু শিলিগুড়ি তা ১১ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা। যা অনেক বেশি। গত আর্থিক বছরে প্রথম শ্রেণির ঠিকাদারেরা ২টি এবং তৃতীয় শ্রেণির ঠিকাদারেরা ২০টি কাজ পান। দ্বিতীয় শ্রেণির ঠিকাদারেরা কোনও কাজ পাননি। এমন অবস্থায় সিকিউরিটি ডিপোজিট জমা থাকলেও তা তোলা যাচ্ছে না।
ঠিকাদারদের অভিযোগ, “ট্যাক্সের সার্টিফিকেট না পাওয়া, বেশি হারে আয়কর কাটা, সঠিক সময়ে বকেয়া না মেটানোর সমস্যাও চলছে। পাশাপাশি, দীর্ঘদিন হলে গেলেও সংগঠনকে পরিষদ চত্বরে কোনও ঘর পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।” পরিষদ সূত্রের খবর, গত কয়েক বছর আগে রাজ্য, কেন্দ্রীয় সরকার এবং শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বরাদ্দ থাকায় প্রচুর কাজ পেতেন ঠিকাদারেরা। বর্তমানে তা অনেকটাই কমে গিয়েছে। গত বছর মাত্র ৬০ লক্ষ টাকার কাজ হয়েছে পরিষদের আওতায়। এতে ঠিকাদারদের সমস্যা পড়তে হচ্ছে। |