নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থল চিহ্নিত করে কম সময়ে পৌঁছনোর জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করতে চলেছে দমকল দফতর। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই তৈরি হবে একটি আধুনিক মানের কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজারহাটে একটি দমকল কেন্দ্র ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিলান্যাস করে এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান। তিনি বলেন, “উন্নত মানের একটি কন্ট্রোল রুম তৈরি হবে। সেখানে ব্যবহার করা হবে ‘জিপিএস’ (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) প্রযুক্তি। খবর পাওয়া মাত্র চিহ্নিত করা হবে জায়গাটি। সেই অনুযায়ী কম সময়ে সেখানে যাওয়ার রাস্তা ঠিক করা যাবে। দমকলের গাড়িগুলিতে বসানো হবে ওই প্রযুক্তি।”
মন্ত্রীর আরও দাবি, প্রতিটি ঘটনায় দমকলকর্মীরা সময়ে পৌঁছে গিয়েছেন। তবে আরও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর জন্যই এই পরিকল্পনা। কিছু দিনের মধ্যেই ছোটবড় মিলিয়ে মোট ৬৮টি দমকলের গাড়ি কেনা হবে।
রাজারহাটে হিডকোর দু’একর জমিতে দমকল কেন্দ্রের সঙ্গে একটি অ্যাকাডেমি তৈরি করা হবে। সেখানে ল্যাডার-সহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি রাখা হবে। চলবে প্রশিক্ষণের কাজ। দেড় বছরের মধ্যে তৈরি করা হবে কেন্দ্রটি। দমকলমন্ত্রী বলেন, “রাজ্য জুড়ে ২৫টি জায়গায় দমকল কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এর মধ্যে কলকাতায় হবে ৬টি কেন্দ্র, বাকি কেন্দ্রগুলি হবে জেলায়। রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হচ্ছে।” এই দমকল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জেরে লক্ষাধিক লোকের কর্মসংস্থান হবে। বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের আবেদন মেনে স্থানীয় জমিহারাদেরও কর্মসংস্থানের চেষ্টা করা হবে বলে জানান দমকলমন্ত্রী।
এই অ্যাকাডেমিতে বিভিন্ন বহুতল, শপিং মল, বাজারগুলির নিরাপত্তারক্ষীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। বিধায়ক সুজিত বসু উন্নত মানের ল্যাডার কেনার জন্য চার কোটি টাকা দমকলমন্ত্রীকে দেন। মোট ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই দমকল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। এর আগে গোসাবা, কাকদ্বীপ ও ডানকুনিতে দমকল কেন্দ্র তৈরির শিলান্যাসের কাজ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত প্রমুখ। |