শুক্রবার ছিল মাধ্যমিকের ভূগোল পরীক্ষা। পরীক্ষা চলাকালীন টোকাটুকির অভিযোগে এক ছাত্রকে কান ধরে ওঠবোস করানোর অভিযোগ উঠল মাধ্যমিক পরীক্ষার এক সেন্টার-ইনচার্জের বিরুদ্ধে। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালি-২ ব্লকের আতাপুর কেনারাম হাইস্কুলে। পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ধরনের ঘটনায় প্রতিবাদ করেন ওই স্কুলের শিক্ষকেরা। অন্যদিকে ওই স্কুলে শিক্ষকরা ঠিকমত গার্ড না দেওয়ায় টোকাটুকির প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁকে অপমান করা হয়েছে বলে বিডিওর কাছে অভিযোগ দায়ের করেন সেন্টার ইনচার্জ। ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য স্কুলে যান সন্দেশখালি-২ এর বিডিও সোমনাথ দে ও সন্দেশখালি থানার ওসি পলাশ চট্টোপাধ্যায়।
পুলিশ ও স্কুলসূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালি-২ ব্লকের ডি টি বি শহিদ স্মৃতি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের আসন পড়েছে আতাপুর কেনারাম হাইস্কুলে। এ দিন বেলা দেড়টা নাগাদ স্কুলে যান সেন্টার ইনচার্জ তপন অধিকারী। স্কুলের শিক্ষকদের অভিযোগ, পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করার সময় এক ছাত্রের কাছে টোকাটুকির কাগজ পাওয়া গেলে তাকে কান ধরে ওঠবোস করান তিনি। শিক্ষকরা প্রতিবাদ করলে ভুল স্বীকার করে সেখান থেকে চলে যান তপনবাবু।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাপসকান্তি মজুমদার বলেন, “কোনও ছাত্র যদি টোকাটুকি করতে গিয়ে ধরা পড়ে, তাহলে তাকে আর কোনও পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার ক্ষমতা সেন্টার ইনচার্জের রয়েছে। কিন্তু পরীক্ষার হলে কাউকে কান ধরে ওঠবোস করানোটা ঠিক হয়নি। শিক্ষকরা ঠিকমত গার্ড দিচ্ছেন না বলে মিথ্যা অভিযোগ করে দীর্ঘদিনের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অপমান করতে চেয়েছেন সেন্টার-ইনচার্জ।” এ বিষয়ে তপনবাবু বলেন, “আমি কোনও ছাত্রকে টোকাটুকির অপরাধে কান ধরে ওঠবোস করাইনি। টোকাটুকি করতে বারণ করায় কয়েকজন শিক্ষক আমায় অপমান করেন। ঘটনাটি আমি পর্ষদকর্তাদের জানিয়েছি।”
বিডিও সোমনাথ দে বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে দু’পক্ষের ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়েছে। পরীক্ষাও নির্বিঘ্নে হয়েছে।” |