খেতাব রক্ষার লড়াই থেকে আর এক ধাপ দূরে। এই সময় বাংলা শিবিরে দুঃসংবাদটা না এলেই বোধহয় ভাল হত। শনিবার বিজয় হাজারে সেমিফাইনাল চোটের ধাক্কায় খেলতে পারবেন না ফর্মে থাকা তরুণ পেসার বীরপ্রতাপ সিংহ। যদিও দুঃসংবাদটাকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না বাংলা শিবির। সৌরভ সরকারকে দিয়ে বীরের জায়গা পূরণ করা হবে বলে ঠিক হয়েছে। কিন্তু উলটো দিকে যে দিল্লি। গৌতম গম্ভীরদের বিরুদ্ধে সেরা দল না পাওয়ার ধাক্কা ঠিকঠাক সামলানো যাবে তো? বিশাখাপত্তনমের মাঠে নেমে সেই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে লক্ষ্মীরতন-মনোজদের।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের দলনেতা গৌতম গম্ভীরের টিমের বিরুদ্ধে বাংলার লড়াই। ফলে আস্তিনে কোনও তাস লুকিয়ে রেখে মাঠে নামতে পারবেন না লক্ষ্মীরা। বাংলার সবই জানা কেকেআর ক্যাপ্টেনের। তাৎপর্যপূর্ণ এই ব্যাপারটাকে অবশ্য বাড়তি গুরুত্ব দিতে নারাজ বাংলা অধিনায়ক। শুক্রবার রাতে টিম মিটিংয়ের পর ফোনে লক্ষ্মীরতন বলছিলেন, “আমাদের কাছে এই ম্যাচটাও আর পাঁচটা ম্যাচের মতোই। এটা সেমিফাইনাল, আমাদের জিততেই হবে, এটাই গুরুত্ব দেওয়ার কারণ হতে পারে। তবে আমরা বরাবরের মতো নিজেদের সেরাটা দিতে মাঠে নামব, এটাই আসল।”
গম্ভীরেরও প্রায় একই বক্তব্য। দিল্লি দলে তিনি এক জন সাধারণ ক্রিকেটার বলে বেশি কিছু বলতে চাইলেন না। শুধু বললেন, “বাংলা ভাল দল। আমাদের লড়ে জিততে হবে। ম্যাচ নিয়ে আমাদের দলের অধিনায়ক যা বলার বলবেন।”
ম্যাচের আগের দিন কেকেআর ক্যাপ্টেনের সঙ্গে তাঁর দুই আইপিএল সতীর্থের কুশল বিনিময়ের সুযোগ হয়নি। গম্ভীরের দিল্লি আর লক্ষ্মী-মনোজদের বাংলা দল আলাদা হোটেলে রয়েছে। তা ছাড়া দিল্লি এ দিন প্র্যাক্টিস করলেও আগের দিন ম্যাচ থাকায় বাংলার এ দিন কোনও প্র্যাক্টিস ছিল না। ফলে মাঠেও দেখা হওয়া সম্ভব ছিল না। যে মাঠে কর্নাটককে হারিয়েছে বাংলা সেই পোর্ট ট্রাস্ট মাঠেই এই ম্যাচ। তবে একই উইকেটে কি না জানেন না লক্ষ্মী। তাই ম্যাচের সকালে উইকেট না দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন না টস জিতলে কী করবেন। বললেন, “আগের ম্যাচের উইকেটটায় খেলা হলে টস জিতে ফিল্ডিং করাটাই ভাল।” দিল্লির ব্যাটিং যে বেশ ভাল অবস্থায় রয়েছে তা নয়। উন্মুক্ত চন্দ পাঁচ ইনিংসে ১৩৩ রান করেছেন। অধিনায়ক রজত ভাটিয়া বরং তার চেয়ে ভাল ফর্মে। তিন ইনিংসের একটিতে অপরাজিত ১০৬। তবে অন্য দু’টি মিলিয়ে ১৯। মিঠুন মানহাসও ভাল ফর্মে নেই। দল নক আউটে উঠেছে বলেই গম্ভীর বিশাখাপত্তনমে এসেছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে গুজরাত ম্যাচে করেন অপরাজিত ৪৪। যদিও সে সব নিয়ে ভাবতে নারাজ লক্ষ্মী। “কে কী রকম ফর্মে আছে, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, ম্যাচের দিন কে কী রকম খেলবে।” |