লম্বা সিরিজের একটা রোমাঞ্চকর ব্যাপার হল, পিছিয়ে থাকা টিম পালটা লড়াইয়ের সুযোগ পায়। শনিবার হায়দরাবাদে নিশ্চয়ই নিজের দলের জন্য এ রকম কিছু চাইছে মাইকেল ক্লার্ক। যে ব্যাপারগুলো থেকে ক্লার্ক ইতিবাচক চিন্তা নিতে পারে সেগুলোর মধ্যে প্রথমেই থাকবে ওর ব্যক্তিগত ফর্ম। তার পর আসবে টিমের বাকি কয়েক জনের পারফরম্যান্স। সবচেয়ে তাৎপর্যের, চেন্নাই টেস্টে প্রায় তিন দিন ধরে দুটো দলই সমানে-সমানে ছিল।
আমি হলে কিন্তু এই টেস্টে নাথন লিয়ঁকে বিশ্রাম দিতাম। চেন্নাই টেস্টের পর খুব পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, এই টেস্টেও ভারতীয়রা ওকে রেহাই দেবে না। গোটা অস্ট্রেলীয় গ্রীষ্ম ধরেই লিয়ঁ খেলে যাচ্ছে। একটা টেস্টে বিশ্রাম পেলে ও নিজের ব্যাটারি নতুন করে চার্জ করে নিতে পারবে। বুঝতে পারছি না জেভিয়ার ডোহার্টি আর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল একসঙ্গে খেলবে কি না। তবে ওরা দু’জনেই ভারতীয়দের কাছে অচেনা। তাই দু’জনের মধ্যে এক জনকে খেলানোর ফাটকাটা খেলা যেতেই পারে।
পেস আক্রমণে বারুদ ভরতে পারে মিচেল জনসনও। অস্ট্রেলিয়ায় ও ভাল পেস আর বাউন্সে বল করেছিল। যা থেকে প্রমাণ হয়, ও ভাল ছন্দে আছে। চেন্নাইয়ের প্রতিকূল পিচে দারুণ বল করেছিল প্যাটিনসন। ওর সঙ্গে জনসনকে ব্যবহার করার কথা ভাবতে পারে ক্লার্ক।
ব্যাটিংয়ের কথায় বলব, চেন্নাইয়ে ভারতীয় স্পিনারদের ভাল খেলতে না পেরে আমাদের টপ অর্ডার নিশ্চয়ই হতাশ। আমি হলে কিন্তু হায়দরাবাদেও একই ব্যাটিং কম্বিনেশন খেলাতাম। কারণ এটাই এখনকার সেরা অস্ট্রেলীয় ব্যাটিং লাইন আপ। যারা বারবার নিজেদের ক্ষমতা প্রমাণ করে এসেছে। দ্বিতীয় টেস্টটা অস্ট্রেলীয়দের পক্ষে প্রচণ্ড গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি এই টেস্টে ওরা একই ব্যাটিং লাইন আপে ভরসা রাখবে।
ধোনি আর ক্লার্ক দু’জনেই ভাল ফর্মে আছে। পরের ম্যাচটা দু’জনে নিশ্চয়ই ইতিবাচক ভাবে দেখছে। এটা ঘটনা যে, অস্ট্রেলিয়ার কাছে গ্রেম সোয়ান-মন্টি পানেসরের মানের স্পিনার নেই। ভারতে জেতা সব সময় কঠিন। আর সেখানেই তো চ্যালেঞ্জ। |