সিরিজের প্রথম টেস্টটা জিততে পারলে যে কোনও টিমের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। চেন্নাই টেস্ট ভারত সহজেই জিতেছিল। কিন্তু ম্যাচে বেশ কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল, অস্ট্রেলিয়া যেগুলো কাজে লাগাতে পারলে টেস্টের ফল অন্য রকম হত। ভারত যে ভাবে ওই মুহূর্তগুলো কাজে লাগাল, তার প্রশংসা করতেই হবে।
চেন্নাইয়ে ভারতের মিডল অর্ডার রান পেলেও ওপেনাররা ব্যর্থ। আমার সব সময়ই মনে হয়েছে, ওপেনাররা রান পেলে ভারত বড় স্কোরে পৌঁছতে পারে। আমি নিশ্চিত দ্বিতীয় টেস্টে দুই ওপেনারই রান পাবে আর মিডল অর্ডারের জন্য শক্ত ভিত গড়ে দেবে। |
বীরুর ব্যাটিং-মনোভাব থেকে ভারত প্রচুর সুবিধে পেয়েছে। ওর বিধ্বংসী স্ট্রোক প্লে বিপক্ষ টিমকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়ে বোলারদের মানসিক ভাবে গুঁড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে ভাল বলকেও বাউন্ডারির বাইরে পাঠানোর ক্ষমতা। বীরুর একটা বড় স্কোর প্রাপ্য। তবে আমি নিশ্চিত, সেটা নিয়ে ভেবে খুব বেশি সময় ও নষ্ট করবে না। অস্ট্রেলীয় বোলিং ধ্বংস করার ছকটা ও ঠিক সাজিয়ে ফেলবে। মুরলী বিজয়ের জন্যও এই টেস্টটা গুরুত্বপূর্ণ। চেন্নাইয়ের দুটো ইনিংসেই ও ‘লুজ’ খেলেছে। তবে টেস্টে সফল হওয়ার ক্ষমতা যে ওর আছে সেটা বিজয় আগেই প্রমাণ করেছে। ইরানি ট্রফিতে সেঞ্চুরি করে টেস্ট দলে এসেছে ও। সেটা থেকে ইতিবাচক শক্তি নিতে পারলে, ২০১০ সালে বেঙ্গালুরুতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নিজের সেঞ্চুরির পুনরাবৃত্তি করতে পারলে হায়দরাবাদে নিশ্চয়ই প্রভাব ফেলবে বিজয়।ভারতের টিম কম্বিনেশন নিয়ে আগ্রহ হচ্ছে। চেন্নাইয়ের মতো পিচ হলে আমি এক জন পেসার কমিয়ে প্রজ্ঞান ওঝাকে দলে নিতাম। মনে রাখবেন এটা প্রজ্ঞানের হোমগ্রাউন্ড। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজেও ভাল বল করেছে, তাই প্রজ্ঞান এই মুহূর্তে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী।
অস্ট্রেলিয়াকে ভাবতে হবে মাত্র এক জন বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে ওরা দল গড়তে পারবে কি না। জেমস প্যাটিনসন ছাড়া ওদের পেসাররা কেউ প্রভাব ফেলতে পারেনি। আমি হলে মিচেল জনসনকে খেলাতাম, কারণ ও এর আগে দু’বার ভারত সফরে এসেছে। লোয়ার অর্ডারে ভাল ব্যাটও করে দিতে পারে। দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে জেভিয়ার ডোহার্টিকে খেলানোর কথা নিশ্চয়ই ওদের মাথায় রয়েছে। আর এনরিকে তৃতীয় সিমার। ক্লার্কের কিন্তু চার নম্বরেই ব্যাট করা উচিত। অধিনায়ক আর দলের প্রধান ব্যাটসম্যানের প্রচণ্ড চাপে ব্যাট না করতে নামাই ভাল। |