অটো রুট নিয়ে সমস্যা চন্দননগরে, প্রহৃত দুই
রিবহণ দফতরের বৈধ অনুমতি থাকা সত্ত্বেও কিছু অটো চালককে অন্য অটো চালকদের হাতে আক্রান্ত হতে হচ্ছে। র্দীঘ দিন ধরে এই সমস্যা চলছে।
চুঁচুড়ার খাদিনা মোড় থেকে ভদ্রেশ্বরের অ্যাঙ্গাস ভায়া চন্দননগর স্টেশন রুটে ২০০১ সালে চারটি অটো চালানোর অনুমতি দেয় হুগলি জেলা পরিবহণ দফতর। গত বছর একটি অটো বাড়ে ওই রুটে। গোলমালের সূত্রপাত বেশ কয়েক বছর আগেই। রুটের নির্দিষ্ট অটোগুলি চন্দননগর স্টেশনের সামনে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে গেলে তাদের প্রহৃত হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। প্রশাসনের দ্বারস্থ হলে প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয় তাঁদের।
অভিযোগ, গত সপ্তাহেই দুই অটো চালককে বেধড়ক মারধর করে চন্দননগরের কিছু অটো চালক। এখনও তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগও হ।য়ছে থানায়। বাকি তিন অটো চালক গত কয়েক দিন ধরে ভয়ে গাড়ি বের করছেন না বলেও জানিয়েছেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে খাদিনা মোড়ের সমস্ত রুটের অটো চালকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। পুলিশ-প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে বিষয়টি জানানো হয়। ঘটনার কথা ওঠে খোদ পরিবহণ মন্ত্রীর কানেও। প্রয়োজনে ওই রুটের অটো চালকেরা বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর গোচরেও আনতে চান বলে জানান। চন্দননগরের পুলিশ উপযুক্ত পদক্ষেপ নিলে সমস্যা বাড়ত না বলে তাঁদের মত।
চিকিৎসাধীন দুই চালক রঞ্জিত কুড়ি ও তাপস চক্রবর্তী বলেন, “দিন কয়েক আগে চন্দননগর স্টেশন চত্বরের অটো চালকেরা আমাদের মারধর করে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়। আমাদের রুট পার্মিট থাকা সত্ত্বেও যে ভাবে হামলা হচ্ছে, তাতে পুলিশও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ ভাবে সংসারে হাঁড়ির হাল হচ্ছে।” প্রশাসনও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে না বলে ক্ষোভ আছে ওই চালকদের।
আঞ্চলিক পরিবহণ অধিকর্তা (সদর) সৈকত দাস বলেন, “রুট পারমিট থাকায় ওই পাঁচ অটো চালকের চন্দননগর থেকে যাত্রী তোলার নৈতিক অধিকার আছে। ওঁদের উপরে হামলার ঘটনা নিন্দনীয়। তবে এই সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব পুলিশ-প্রশাসনের।” চন্দননগর স্টেশন অটো অ্যাসিয়েশনের সম্পাদক মহম্মদ আজাদ অবশ্য বলেন, “পরিবহণ দফতরের বৈধ অনুমোদন অনুযায়ী চন্দননগর স্টেশনে ওরা যাত্রী তুললে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু চন্দননগর থেকে যাত্রী তুলে খাদিনা মোড়ে যাওয়া যাবে না। বৈধ রুট অনুযায়ী, ওদের ভদ্রেশ্বরে ফেরার কথা। এতে এখানকার অটো চালকদের সমস্যা হচ্ছে। পরিবহণ দফতরের নির্দেশ অমান্য করছে ওরাই।” মারধরের অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন তিনি। কেবলমাত্র গাড়ি আটকানো হয়েছিল বলে আজাদের দাবি।
চন্দননগর পুরসভার মেয়র রাম চক্রবর্তীর দাবি, ঘটনার কথা তিনি জানেন না। তবে মারধরের ঘটনা ঘটে থাকলে, তা অন্যায় বলে মেনে নেন তিনি। প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ করারও আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র।
কী বলছে পুলিশ?
চন্দননগরের এসডিপিও সৈকত ঘোষ বলেন, “মারধরের ঘটনা ঘটে থাকলে খুবই অন্যায়। খতিয়ে দেখে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের এই আশ্বাস অবশ্য খুব একটা ভরসা দিচ্ছে না সন্ত্রস্ত অটো চালকদের। খাদিনা মোড় অটো ইউনিয়নের সম্পাদক সুব্রত দাস বলেন, “এটা নতুন কোনও সমস্যা নয়। পুলিশ-প্রশাসন সত্যি সত্যিই উদ্যোগী হলে এত দিনে সমাধান হয়েই যেত।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.