|
|
|
|
|
|
|
আপনার স্বাস্থ্য ২: এ রূপে ভোলাব তোমায় |
|
সৌন্দর্য ঢাকতে পারে
না তিল বা আঁচিলও
কিন্তু কেমন করে? ডা. ইমরান
ওয়ালি-র মুখোমুখি রুমি গঙ্গোপাধ্যায় |
|
|
কিছু দিন আগে বছর পঁচিশের একটি মেয়ে এসেছিল এক চিকিৎসকের চেম্বারে। সমস্যা ঠোঁটের নীচে শ্বেতির মতো সাদা দাগ। টোটকা, রকমারি বিউটি প্যাক-এর মতো এটা-সেটা করেও সে দাগ মেলেনি। এমনিতে কোনও অসুবিধে না হলেও মেয়েটির বিয়ে আটকে যাচ্ছিল। চটজলদি সমাধান হিসেবে করা হল পাঞ্চ গ্রাফটিং।
নাকের ডগায় বড়সড় নিরীহ তিল বা গালের পাশে মস্ত আঁচিল বদলে দিতে পারে মুখের আদল। এমনকী ঢেকে দেয় স্বাভাবিক সৌন্দর্য। বা ধরুন একটু বয়স গড়ালেই বলিরেখা। ত্বকের বয়সকে একটানে বাড়িয়ে দেয় বেশ কয়েক বছর। সব মিলিয়ে সৌন্দর্যের দফারফা। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কী, চেহারার এই সব ত্রুটি নিয়ে হা-হুতাশ এখনকার দিনে আর চলে না। রূপের ব্যাপারে কোনও সমঝোতা নয়। দরকার শুধু সুন্দর থাকার ইচ্ছে আর ঠিকমতো চিকিৎসা।
কেমন সে চিকিৎসা? ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. ইমরান ওয়ালি বললেন, ‘‘অল্প-স্বল্প শ্বেতির চিকিৎসায় পাঞ্চ গ্রাফটিং ভাল কাজ দেয়। এতে শরীরের স্বাভাবিক ত্বক থেকে ছোট ছোট পাঞ্চ নিয়ে শ্বেতির জায়গায় লাগিয়ে দেওয়া হয়। জায়গাটা অবশ করে নেওয়া হয়। ৭-১০ দিনের মধ্যে ড্রেসিং খুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি চলতে থাকে ওষুধ। দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে ত্বকের স্বাভাবিক রং চলে আসবে। প্রতিটি সিটিং-এ খরচ ৩,০০০ থেকে ৪,০০০ টাকা।’’
শুধু শ্বেতি কেন, ঠোঁটের উপরে গোঁফের মতো বিশ্রী লোম পুষে রাখার দিনও শেষ। করিয়ে নিতে পারেন ইলেকট্রোলাইসিস। একই ভাবে গায়েব হবে থুতনি বা গালের যে কোনও অবাঞ্ছিত লোম। কয়েক দিন অন্তর অন্তর থ্রেডিং-এর যন্ত্রণা থেকে রেহাই মিলবে।
ফর্সা মুখে মেচেতার কালো দাগ অনেকেরই বিরাট সমস্যা তৈরি করে। মুশকিল হল মেচেতার দাগ ওষুধে পুরোপুরি যায় না। সে ক্ষেত্রে আগের অবস্থায় আসতে হলে রয়েছে ‘ডার্মা ব্রেজন’ নামের এক অপারেশন। ব্রণর বিশ্রী দাগও কেমিক্যাল পিলিং করে অনেকটাই মিলিয়ে দেওয়া যাচ্ছে। দরকার বেশ কয়েকটা সিটিং।
ক্লাস এইটে পড়ার সময় নাকের পাশে গালের ওপর বিশ্রী আঁচিল উঠেছিল অন্তরার। দেখতে খারাপ লাগলেও করার কিছু ছিল না। তিল তুললে নাকি অনেক সমস্যা। বিয়ের মাসখানেক আগে অন্তরা মরিয়া হয়ে এক ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো করালেন ইলেকট্রোসার্জারি। ডা. ইমরান ওয়ালি জানালেন, ‘‘এতে জেল লাগিয়ে জায়গাটা অবশ করে দেওয়া হয়। তার পর তিলকে তুলে ফেলা হয়। অপারেশন পরবর্তী দাগও ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায়। তবে তিল খুব বড় হলে তখন আর ইলেকট্রোসার্জারি নয়, করতে হবে অপারেশন।’’
বলিরেখার জন্য কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েশন। ঠোঁট বা নাকের পাশের সূক্ষ্ম বলিরেখা এতে মুছে দেওয়া যায়। তবে গভীর বলিরেখা এতে যাবে না। বড় অপারেশনের দরকার। জানালেন ডা ওয়ালি।
যোগাযোগ: ২৩৫৯-০৯০৩
|
|
|
|
|
|