|
|
|
|
জেটলির কল রেকর্ড চুরি, উত্তাল সংসদ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা অরুণ জেটলির ফোনের কল-রেকর্ড হাতানোর অভিযোগ নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে। চার জন গ্রেফতারও হয়েছে। আজ গোটা রাজ্যসভা উত্তাল হয়ে উঠল এই ঘটনায়। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপির অন্তর্কলহের প্রতিফলনই ঘটেছে জেটলির ফোন-কল হাতানোর ঘটনায়। আর গোটা বিরোধী শিবির এককাট্টা হয়ে সংসদে চেপে ধরেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দেকে। কারণ, জেটলি ও বিজেপির শঙ্কা, এর পিছনে হাত রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারেরও। চাপের মুখে আজ রাজ্যসভাতেও শিন্দেকে বিবৃতি দিতে হয়েছে। বলতে হয়েছে, খুব শীঘ্রই সমস্যার সমাধান করা হবে।
জেটলির কল-রেকর্ড হাতানোর ঘটনায় জেটলি-বিরোধী বিজেপি নেতা সুধাংশু মিত্তলের হাত থাকার অভিযোগ উঠেছে। নাম উঠেছে প্রাক্তন ক্রিকেট প্রশাসক ললিত মোদীরও। সে ক্ষেত্রে তদন্তের ফল জানাতে দেরি করছে কেন কেন্দ্র? জেটলির আশঙ্কার জায়গা এটাই। অনুরাগ সিংহ নামে এক বেসরকারি গোয়েন্দাই জেটলির কল-রেকর্ড হাতানোর কাজ করেছিলেন। দিল্লি পুলিশের কনস্টেবল অরবিন্দ দাবাস-সহ এই ঘটনায় মোট চার জন গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু আসল দোষীর নাম জানানো হচ্ছে না। সুধাংশু মিত্তল জানিয়েছেন, তিনি অনুরাগ সিংহকে চেনেন। কিন্তু জেটলির মতো তিনিও কল-রেকর্ড চুরির শিকার। তা হলে দোষী কে?
বিজেপি নেতাদের মতে, যদি বিষয়টি কেবল বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব হত তবে এত দিনে আসল দোষীর নাম জানিয়ে দিত কেন্দ্র। বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকের আগে তা নিয়ে ঘটা করে সাংবাদিক সম্মেলন করা হত। জেটলির ঘনিষ্ঠ নেতাদের আশঙ্কা, বিষয়টিতে জড়িত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ব্যুরো। তাই
কেন্দ্র অস্বস্তিতে পড়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা সরাসরি এ কাজ করতে পারেন না বলে বেসরকারি গোয়েন্দা ভাড়া করা হয়েছে।
শুধু জেটলি বা সুধাংশু নন, ফোন নিয়ে অভিযোগ করেছেন সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরিও। ইয়েচুরির দাবি, তাঁর ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে। শিন্দের অবশ্য দাবি, কেউ জেটলির ফোনে আড়ি পাতেনি। কল-রেকর্ড চুরি হয়েছে। ফোনে আড়ি পাততে স্বরাষ্ট্রসচিবের অনুমতি প্রয়োজন। |
|
|
|
|
|