|
|
|
|
ধর্ষণ করে খুনে প্রাণভিক্ষা নয়, সুপারিশ সংসদীয় কমিটির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ধর্ষণ করে খুনের অপরাধে প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতির বিবেচনা করাই উচিত নয় বলে সুপারিশ করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। যে কোনও প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিষয়ে তিন মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে মত দিয়ে কমিটির সুপারিশ, প্রাণভিক্ষার আবেদন গ্রহণ করা হলে তার কারণ প্রকাশ করা হোক।
দিল্লির গণধর্ষণের পরে যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ আইন কড়া করতে অর্ডিন্যান্স এনেছিল মনমোহন-সরকার। সেখানে বলা ছিল, ধর্ষণের ফলে নিগৃহীতার মৃত্যু হলে বা স্থায়ী ভাবে পঙ্গু হয়ে গেলে দোষীর মৃত্যুদণ্ড হবে। সেই মতকে সমর্থন জানিয়েছে কমিটি। ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন এবং বিচারপতি জে এস বর্মা কমিটির সুপারিশ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি এই অর্ডিন্যান্সটিও স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছিল। বিজেপি নেতা বেঙ্কাইয়া নায়ডুর নেতৃত্বাধীন কমিটি সুপারিশ করেছে, যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত দোষী প্রমাণিত হলে তার নাম প্রকাশ করে দেওয়া হোক। তবে কমিটির মধ্যে মতভেদের কারণেই যৌন অপরাধের ক্ষেত্রে নাবালকত্বের বয়ঃসীমা কমানোর কোনও সুপারিশ করা হয়নি।
আজ রাজ্যসভায় রিপোর্ট পেশের পরে বেঙ্কাইয়া জানান, প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হওয়ার সুযোগ নিয়ে শাস্তিপ্রাপ্তরা আদালতে চলে যাচ্ছে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলের আমলে ধর্ষণ-খুনের আসামিদের প্রাণভিক্ষা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তার কারণ জানায়নি। এই কারণ প্রকাশ করা উচিত। বৈবাহিক সম্পর্কে ধর্ষণকে অপরাধ বলে স্বীকৃতি দিতে রাজি হয়নি কেন্দ্র। বর্মা কমিটি এর পক্ষে ছিল। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রের মতকেই সমর্থন করেছে সংসদীয় কমিটি। অ্যাসিড হামলার জন্য আইনের পৃথক ধারাকে কমিটি সমর্থন জানিয়েছে। কমিটির মত, যদি হামলাকারী নিগৃহীতাকে ক্ষতিপূরণ না দিতে পারে, তা হলে রাজ্য বা কেন্দ্র যেন তা মিটিয়ে দেয়।
|
ওড়িশায় ধর্ষণ-খুন দুই আদিবাসী শিশুকে |
পর পর ধর্ষণের ঘটনায় দেশের রাজধানী যখন উত্তাল তখন ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বারিপদাই বা বাদ যায় কেন? চার এবং ছয় বছরের দু’জন আদিবাসী শিশুকে ধর্ষণ করার পর খুন করে রৌপদা গ্রামের একটি পুকুরে ফেলে দিল দুই যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই দুই যুবক গত দু’দিন ধরে ফেরার। এখন তাদের খোঁজ চলছে। |
|
|
|
|
|