|
|
|
|
বাংলা শিক্ষার দাবিতে রাঁচি রাজভবনে ধর্না |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
সরকারি স্কুলে বাংলা পাঠ্য বইয়ের সরবরাহ নিয়মিত করা এবং স্কুলগুলিতে বাঙালি শিক্ষকদের নিয়োগ-সহ সহ দশ দফা দাবি নিয়ে রাঁচি রাজভবনের সামনে ধর্না দিলেন বাঙালিরা। গত কাল সকালে রাঁচিতে মিছিল করে রাজভবনের সামনে হাজির হন বিভিন্ন বাঙালি সংগঠনের সদস্যরা। রাজ্যপালের কাছে তাঁরা স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন।
ঝাড়খণ্ডে বাংলা ভাষাকে দ্বিতীয় রাজভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হলেও পরিকাঠামোর অভাবে বেশির ভাগ সরকারি বাংলা স্কুলই ধুঁকছে। অধিকাংশ বাংলা স্কুলে বাংলা পাঠ্য বই আসে না। নেই বাংলা পড়ানোর শিক্ষকও। যার জেরে অনেক স্কুলেই বাংলা পড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অনেক স্কুল বাংলা মাধ্যম বন্ধ করে দিয়ে ইংরেজি কিংবা হিন্দি ভাষায় ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়া করাতে বাধ্য হচ্ছে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে রাঁচিতে একত্রিত হন বিভিন্ন বাঙালি সংগঠন। |
রাঁচি রাজভবনের সামনে বিভিন্ন বাঙালি সংগঠনের ধর্না। বৃহস্পতিবার। ছবি: মুন্না কামদা। |
বাংলা পাঠ্য বই ও বাংলা শিক্ষক নিয়োগের দাবি ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি দফতরে বাঙালিদের নিয়োগ বাধ্যতামূলক করা, দূরদর্শনে বাংলা সংবাদ পাঠ বাধ্যতামূলক করা, ৩৩ নম্বর জাতীয় সড়ককে কাজী নজরুল ইসলামের নামে নামাঙ্কিত করা, কর্মাটাঁড়ে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বাড়িটিকে অধিগ্রহণ করা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিবেকানন্দর জন্মদিনটি সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করার মতো একাধিক দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার রাঁচি, ধানবাদ ও জামশেদপুরের বিভিন্ন বাঙালি অ্যাসোসিয়েশন ধর্নায় বসে।
ঝাড়খণ্ড বাংলা ভাষা উন্নয়ন সমিতির সংস্থাপক বেঙ্গু ঠাকুর বলেন, “বাংলা স্কুলগুলি একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রধান দাবি সরকারি স্কুলে বাংলা পাঠ্য বই সরবরাহ করতে হবে রাজ্য সরকারকেই। ওই সব স্কুলে বাংলা শিক্ষকের শূন্য পদগুলিতেও লোক নিয়োগ করতে হবে।” ঝাড়খণ্ড বঙ্গভাষী সমন্বয় সমিতির পক্ষ থেকে বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, “চক্রান্ত করে বাঙালিদের এখানে সব দিক থেকে চেপে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করব। আগামী দিনে সমগ্র ঝাড়খণ্ডের বাঙালিদের একত্র করা হবে রাজভবনের সামনে।” রাঁচির বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বরুন সাহা বলেন, “বাংলা ভাষার জন্য রাজভাষার স্বীকৃতি আদায় করতে বাঙালিদের আন্দোলন করতে হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য ভাষাকে সেই স্বীকৃতি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বার পরবর্তী আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে।” |
|
|
|
|
|