|
|
|
|
বিজেপির বৈঠকে মুখ সেই মোদী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
নরেন্দ্র মোদীই যে বিজেপির মুখ হতে চলেছেন, আজ দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের শুরুতেই তা স্পষ্ট হতে শুরু করল।
রাজনাথ সিংহ সভাপতি হওয়ার পর এই প্রথম জাতীয় কর্মসমিতি ও পরিষদের বৈঠক হচ্ছে দিল্লিতে। ভোটের রণনীতি রচনার পাশাপাশি দলের মুখ নিধার্রণ করাই বৈঠকের লক্ষ্য। এখনই মোদীকে নিয়ে কোনও ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে সঙ্ঘ নেতৃত্বও যে মোদীকে তুলে ধরার কৌশল তৈরি করছেন তা বোঝা যাচ্ছে। বৈঠকের শুরুতেই সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রাজনাথ সিংহ তিন-তিন বার মোদীর নাম করে তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেন। সঙ্ঘের নির্দেশ ছাড়া রাজনাথ এ কাজ করতেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। আজ অরুণ জেটলিও বলেছেন, “মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা নিয়ে উৎসাহ বাড়ছে।” উত্তরাখণ্ডের বিজেপি নেতা ভগৎসিংহ কোশিয়ারি দাবি জানিয়েছেন, অবিলম্বে মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করা হোক। চায়ের দোকানি থেকে হকার, রিকশাওয়ালা সকলেই চান মোদী প্রধানমন্ত্রী হোন।
সঙ্ঘ নেতৃত্বের কাছে প্রধান সমস্যা হল, বিজেপিরই শীর্ষ নেতারা চান না মোদীকে নিয়ে কোনও ঘোষণা হোক। কিন্তু সঙ্ঘের এক নেতা সাফ জানিয়েছেন, মোদী ছাড়া এখন আর গতি নেই। দিল্লিতে কর্মসমিতির আগের বৈঠকে যোগ দেননি মোদী। কিন্তু আজ বৈঠক শুরুর আগেই তিনি উপস্থিত হয়েছেন। রাজনাথ বলেন, “বিজেপির ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মুখ্যমন্ত্রী লাগাতার তিন বার জয় ছিনিয়ে এনেছেন।” এর পরেও সুশাসনের প্রসঙ্গে তিনি টেনে আনেন মোদীর নাম। পরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-সহ আন্তর্জাতিক দুনিয়া যে ভাবে মোদীর তারিফ করছেন, সে বিষয়ও উল্লেখ করেন রাজনাথ। মার্কিন ভিসা না পেলেও আমেরিকার একটি প্রতিষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বক্তৃতা দেবেন মোদী।
এই বৈঠকে বিজেপি লোকসভা ভোটের স্লোগানও স্থির করে ফেলেছে। তাদের স্লোগান হল, ‘সুশাসন সঙ্কল্প, বিজেপি বিকল্প’। বিজেপি নেতাদের মতে, সঙ্ঘ নেতৃত্ব যতই হিন্দুত্ব করুন, বিজেপি কিন্তু ‘সুশাসন’কেই গুরুত্ব দিচ্ছে। মোদীও এখন শুধুমাত্র উন্নয়নের মন্ত্র বলছেন। ‘হিন্দু হৃদয়সম্রাট’ থেকে মোদী এখন ‘বিকাশ পুরুষ’ হিসাবেই নিজেকে তুলে ধরছেন। ‘গুজরাত মডেল’কে সামনে রেখেই গোটা দেশে প্রচার করবে বিজেপি।
যে কারণে কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও এখন মোদীর উন্নয়নের মডেলকে খারিজ করার ব্যাপারে তৎপরতা দেখা দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ মোদীর সমালোচনা করেছেন। চিদম্বরমও তাঁর বাজেটে মোদীর নাম না করে বলেছেন, এমন অনেক রাজ্য রয়েছে, যেখানে অনেক দ্রুত বৃদ্ধি হলেও মহিলা, তফশিলি জাতি-উপজাতি, সংখ্যালঘু ও অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণির উন্নয়ন হয়নি। |
|
|
|
|
|