আমানতকারীদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন একটি বেসরকারি অর্থলগ্নিকারী সংস্থার দুই এজেন্ট। ধৃতেরা বর্ধমানের মীরছোবার বাসিন্দা শেখ নাসির ও শহরের সাবজোলা এলাকার বাসিন্দা উচ্ছলেন্দু দাস। পুলিশ জানায়, এঁরা স্থানীয় বাজে প্রতাপপুরের একটি ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার অফিস বন্ধ করে পালাচ্ছিলেন। কিন্তু আমানতকারীদের একাংশ তাঁদের ধরে ফেলে মারধর করতে আরম্ভ করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।
মালির বাগানের সেকেন্দার খাঁ ওই দু’জন-সহ সংস্থার তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, ওই সংস্থায় তাঁর মেয়ে ও শ্বশুরের নামে টাকা গচ্ছিত ছিল। কিন্তু মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই জানতে পারেন, সংস্থার লোক জন দোকান বন্ধ করে পালানোর তোড়জোড় করছে। তিনি কয়েক জনকে নিয়ে তাঁদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, টাকা কবে ফেরত পাবেন। কিন্তু তাঁর উত্তরের কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি তাঁরা। তখনই তাঁদের আটক করে থানায় খবর দেন তাঁরা।
ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, বর্ধমান-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই অর্থলগ্নী সংস্থার অফিস খুলে কোটি কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ করেছে ওই সংস্থা। শুধুমাত্র বর্ধমানেই তারা ১৪ শতাংশ সুদ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১ কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ করেছে। মাত্র দেড় বছরে এই দু’জন শুধু ভাতার ও বর্ধমানের আমানতকারীদের কাছ থেকে প্রায় ১ কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ করেছেন শতকরা ১৪ ভাগ সুদ পাইয়ে দেবার লোভ দেখিয়ে।
বর্ধমান থানার আইসি দিলীপকুমার গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমরা ধৃতদের জেরা করে কয়েক জনের নাম পেয়েছি, যাঁরা এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের খুঁজে বের করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।” তবে ধৃতদের দাবি, এ দিন তাঁরা সংস্থার প্রধান ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতেই যাচ্ছিলেন। প্রসঙ্গত, সল্টলেকের সেক্টর তিনেই রয়েছে ওই সংস্থার মূল কার্যালয়। |