নিজস্ব সংবাদদাতা • লাউদোহা |
কারখানা গড়ার নাম করে জমি কিনে সেই জমি বিক্রি করার চক্রান্ত চলছে, এই অভিযোগে শুক্রবার ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার কাঁটাবেরিয়ায় সংশ্লিষ্ট সংস্থার জমির সামনে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৪ সালে পটনার একটি সংস্থা কারখানা গড়ার জন্য কাঁটাবেরিয়া ও বড়গোড়িয়া মৌজায় মোট ১২০ বিঘা জমি কেনে। এর মধ্যে ১০৯ বিঘা জমিই ছিল ব্যক্তি মালিকানাধীন। ৩৬ জনের কাছ থেকে সরাসরি জমি কেনে ওই সংস্থা। বাকি ১১ বিঘা ছিল খাস জমি। পুরো জমি সীমানা পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। জমি মালিকদের দাবি, বিঘা পিছু ২২ হাজার টাকা করে দাম দেওয়া হয়েছিল। সংস্থার কর্ণধার অশোককুমার অগ্রবাল ওই বছরই ৯ অগস্ট লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কারখানা গড়া হলে জমির মালিক ও বর্গাদারদের পরিবারের একজন পুরুষকে দক্ষতার ভিত্তিতে কাজ দেওয়া হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও কারখানাই গড়া হয়নি সেখানে।
গ্রামবাসীদের দাবি, সম্প্রতি তাঁরা জানতে পেরেছেন, ওই জমির প্লট করে বিক্রির চেষ্টা করা হচ্ছে। জমিদাতাদের পক্ষে অনাদি গড়াই, মায়া রুইদাস, হরেন হাজরাদের বক্তব্য, “কারখানা হবে বলে আমরা অত্যন্ত কম দামে ওই জমি বিক্রি করেছিলাম। কারখানা হলে পরিবার পিছু একজনের চাকরি হওয়ার কথা। কিন্তু তা না করেই ওই জমি বিক্রির চেষ্টা করছে। জমির সেই ‘ড্রয়িং’ও আমরা পেয়েছি।” স্থানীয় তৃণমূল কর্মী অসিত সাধুও বলেন, “কারখানা হলে অনেকের কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু প্রোমোটারি হলে এলাকার লোকের কোনও লাভ নেই। আমরা তা হতে দেব না।’’ তবে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন পর্যন্ত ওই জমির চরিত্র পরিবর্তনের জন্য কোনও আবেদন জমা পড়েনি। মহকুমাশাসক আয়েষারানী এ জানান, ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি।
তবে এই দিন সংশ্লিষ্ট সংস্থার তরফে কেউই ঘটনাস্থলে ছিলেন না। সংস্থার পটনা অফিসে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, তাঁরা প্রকল্পের সঙ্গে সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নন। এর বাইরে আর কিছুই জানাতে চাননি তাঁরা। |