নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
যাঁদের ভাল করার কথা ভেবে গিয়েছিলেন, পড়তে হল তাঁদেরই ক্ষোভের সামনে। শুক্রবার আসানসোলের গাঁজাগলিতে হেনস্থা হওয়ার পরে মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য পাশে পাচ্ছেন দল-মত-স্তর নির্বিশেষে শহরের সব বাসিন্দাদেরই। অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা দেখতে ধারাবাহিক ভাবে অভিযান হলে পুরসভার পাশে থাকার আশ্বাসও দিচ্ছেন সকলে।
এ দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে আসানসোল বণিকসভার সম্পাদক শম্ভু ঝাঁ বলেন, “যা হয়েছে তা অন্যায়। আসানসোলের ভালর জন্য পুরসভা যা পদক্ষেপ করেছে, তা আমরা এই কাজ সমর্থন করি।” চিকিৎসক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, “এর আগেও শহরে ফুটপাথ থেকে দখল উচ্ছেদ করতে গিয়ে প্রতিরোধের মুখে পড়েছিল প্রশাসন। আজ মেয়র সাহস করে এগিয়েছেন। কিন্তু এই ধরনের আচরণ বন্ধ না হলে আর কেউ এগোবেন কি না, প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।” |
সরকারি আইনজীবী স্বরাজ চট্টোপাধ্যায় আবার বলেন, “এ ভাবে বিক্ষোভ দেখানো ঠিক হয়নি। বিক্ষোভকারীদের কোনও বক্তব্য থাকলে তাঁরা তা ভাল ভাবে জানাতে পারতেন।” সাহিত্যিক সুন্দর মুখোপাধ্যায় বলেন, “আগুন লাগলে কিন্তু তার উত্তাপ সবাইকে গ্রাস করে। এটা না বুঝলে শহরবাসীকেই পস্তাতে হবে।”
পুরসভা ভাল পদক্ষেপ করলে রাজনৈতিক নেতারাও পাশে থাকার আশ্বাস দিচ্ছেন। সিপিএমের আসানসোল জোনাল সম্পাদক পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিতর্ক এড়িয়ে আসানসোলের উন্নতির জন্য মেয়র উদ্যোগী হন। আমরা পাশে থাকব।” কংগ্রেসের আসানসোল মহকুমা কমিটির সভাপতি রবিউল ইসলামের বক্তব্য, “ইতিবাচক পদক্ষেপ করলে আমরা সাহায্য করব। তবে কোনও পক্ষেরই হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।” তৃণমূলের জেলা যুব নেতা অভিজিৎ ঘটক বলেন, “মেয়র প্রশাসনিক পদক্ষেপ করেছেন। শহরের উন্নতিতে তিনি যা করবেন, দল পাশে থাকবে।” |