অগ্নি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বাজারে গিয়েছিলেন মেয়র। সেখানে কিছু ব্যবসায়ীর হাতে হেনস্থা হতে হল তাঁকে। আসানসোলের মেয়র তথা তৃণমূল বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। তবে জানিয়ে দিয়েছেন, যতই বাধা দেওয়া হোক, অবৈধ নির্মাণ ভাঙার অভিযান চলবে।
কলকাতায় সূর্য সেন মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের পরেই ঘিঞ্জি আসানসোল শহরের নানা বাজারে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে পুরসভা। শুক্রবার পুরসভার অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে তাপসবাবু বাজার পরিদর্শনে বেরোন। আগুন নেভানোর মহড়া দেওয়ার জন্য ছিল দমকলের একটি ইঞ্জিন। দুপুর ১টা নাগাদ গাঁজাগলিতে তাঁরা দেখেন, রাস্তার অর্ধেক জুড়ে প্লাস্টিকের ছাউনি টাঙিয়ে কেনাবেচা চলছে। মেয়রের নির্দেশে সেগুলি খুলে ফেলা হয়। মহড়া দেওয়ার জন্য দমকলের ইঞ্জিন বড় রাস্তা ছেড়ে বাজারে ঢুকতে গেলে একটি টিনের চালে ধাক্কা লাগে। দমকল জানায়, গলির ভিতরে প্রচুর দোকান। কিন্তু আগুন লাগলে ইঞ্জিন পৌঁছতেই পারবে না। মেয়রের নির্দেশে পুরকর্মীরা অবৈধ টিনের চালটি ভেঙে ফেলেন। |
এর পরেই গোলমাল শুরু হয়। প্রায় শ’দেড়েক ব্যবসায়ী-দোকানদার মেয়রকে ঘিরে ধরেন। আগে থেকে না জানিয়ে এসে কেন পলিথিনের ছাউনি-টিনের চাল ফেলে দেওয়া হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ শুরু হয়। ধাক্কাধাক্কি করা হয় মেয়রকে। তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন, আগুন লাগলে এই সব পলিথিন আর টিনের চালের জন্য ব্যবসায়ীদেরই ক্ষতি হবে। তাঁরা শুনতে চাননি। আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী শেখ সাহাজাদের দাবি, “পুরসভা ধারাবাহিক অভিযান চালালে ও সব অবৈধ নির্মাণ ভাঙলে আমরা পাশে থাকব। কিন্তু বাস্তবে মাঝে-মধ্যে আচমকা এ রকম অভিযান শুরু হয়। থেমেও যায়। এ দিন যাঁদের ছাউনি ছেঁড়া হল, তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন। বাজারে গোলমালের পরিস্থিতি হল, যা কাম্য নয়।” মেয়র অবশ্য জানান, অবৈধ নির্মাণ ভাঙার জন্য আগেই নোটিস দেওয়া হয়েছে। তবু বাজারকে জতুগৃহ করে রাখা হয়েছে। মেয়র বলেন, “অভিযান চলবে। সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরের অভিযানে যাওয়া হবে। মানুষকে সচেতন করার জন্য লিফলেট বিলি হবে। মাইকেও প্রচার চালানো হবে।” সিপিএমের আসানসোল জোনাল সম্পাদক পার্থ মুখোপাধ্যায়, কংগ্রেসের আসানসোল মহকুমা কমিটির সভাপতি রবিউল ইসলাম, জেলা যুব তৃণমূল নেতা অভিজিৎ ঘটক জানান, প্রশাসন ধারাবাহিক অভিযান চালালে তাঁরা পাশে আছেন। |