নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
ধর্ষণের পরে গলায় সোয়েটারের ফাঁস দিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে খুন করে চা গাছের গুড়িতে দেহ বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের মথুরা চা বাগান এলাকায়। বুধবার সকালে দেহটি উদ্ধার হয়। পুলিশ জানায়, মৃত ছাত্রীর নাম রেণুকা টোপ্পো (১২)। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অ্যালবার্ট টোপ্পো নামে ছাত্রীর প্রতিবেশী এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “ছাত্রীর পরিবারের তরফে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ জমা পড়েছে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে এক যুবককে ধরা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।”
মৃত ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত অ্যালবার্ট মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রেণুকাকে বাড়িতে থেকে সাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। এর পর থেকে তার কোনও খোঁজ মেলেনি। ছাত্রীর মা যশোন্তী দেবী জানান, মেয়ে বাড়িতে ফিরছে দেখে তাঁরা খুব একটা চিন্তা করেননি। কারণ, এক মাত্র ভাঙাচোরা ঘরে চার ছেলে মেয়ে নিয়ে কোনও মতে থাকেন। ঘুমানোর অসুবিধার জন্য মেয়ে রেণুকা প্রায় রাতে বন্ধুদের অথবা আত্মীয়ের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করে সেখানে শুয়ে পড়ত। কিন্তু বুধবার সকালেও মেয়ে ফিরে আসছে না দেখে খোঁজ শুরু করেন। রেণুকা রাতে অ্যালবার্টের সঙ্গে গিয়েছিল শুনে গ্রামের বাসিন্দারা যুবককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। স্থানীয় বাসিন্দা বৃন্দা শর্মা বলেন, “অ্যালবার্ট জানায় রেণুকা ওর পিছু নিয়েছিল। সে ধমকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু সন্দেহ হয়। এর পরে খোঁজ করে সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ জানা যায় চা বাগনের ২ নম্বর সেকশনে অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়।” বাড়ির লোক দেখেন রেণুকার গলায় সোয়েটারের ফাঁস লাগিয়ে চা গাছের গোড়ায় বেঁধে রাখা হয়েছে। এর পরে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা অ্যালবার্টের বাড়িতে চড়াও হয়। অভিযুক্ত যুবক পালানোর চেষ্টা করে। বাসিন্দারা তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ধৃত যুবকের স্ত্রী কিশোরী টোপ্পো ঘটনার সঙ্গে স্বামী জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “স্বামী দিন মজুরি করে। ঘটনার সঙ্গে সে জড়িত নয়।” |