ছেলের সাক্ষ্যে মায়ের হত্যাকারীদের যাবজ্জীবন সাজা হল। বুধবার বাঁকুড়া জেলা আদালত এই রায় দেয়। আসামিরা হলেন মনসারাম হেমব্রম ও রবি সরেন। বাঁকুড়া সদর থানার বাসুলিতোড়া গ্রামে তাঁদের বাড়ি। বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (১) নবনীতা রায় এই সাজা দেন। সরকারি কৌঁসুলি রিনা চক্রবর্তী জানান, ২০১০ সালের ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় ওই গ্রামের বধূ বিধবা রসবতি সরেনকে ওই দু’জন বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করে মাটিতে পুঁতে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শী মৃতার ছেলে বাবলু সরেনের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওদের গ্রেফতার করে। দু’মাসের মধ্যে পুলিশ চার্জশিট দেয়। আসামিরা আর জামিন পাননি। খুন ও প্রমাণ লোপাট করার দু’টি সাজাই এক সঙ্গে চলবে। অন্য দিকে, স্ত্রী খুনের জন্য স্বামীর যাবজ্জীবনের নির্দেশ দিয়েছে পুরুলিয়া আদালত। মঙ্গলবার পুরুলিয়া আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক (১) তপনকুমার রায় পুরুলিয়া শহরের বাসিন্দা শঙ্কর সাউকে ওই সাজা দেন। সরকার পক্ষের আইনজীবী মুমতাজ হোসেন আনসারি জানান, ২০১২ সালের ৩১ মার্চ পুরুলিয়া শহরের ধবকাটায় স্ত্রী পুজা চৌধুরীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কেটে খুন করেছিলেন শঙ্কর।
|
নাবালিকার বিয়ে আটকাল পুলিশ |
বিয়ের কথাবার্তা শুরু হওয়ার পরেই স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়েছিল মেয়েটির। পাকা দেখা থেকে আশীর্বাদ পর্যন্ত হয়ে গিয়েছিল। সামনের বৈশাখেই ছিল বিয়ে। খবর পেয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী ও পুলিশ গিয়ে সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া সেই মেয়ের বিয়ের আয়োজন আটকে দিল। শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রঘুনাথপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরীর দাদু প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত নাতনির বিয়ে দেবেন না বলে মুচলেকা লিখে দেন। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন “কম বয়েসি এক কিশোরীর বিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর এসেছিল। পুলিশ কর্মীরা গ্রামে গিয়ে তাঁদের বোঝানোর পরে বিয়ে বন্ধ হয়েছে।”
|
রাস্তায় বাস না পাওয়ায় পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে দুর্ভোগে পড়লেন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। বুধবার বরাবাজারের সিন্দরি বাজার থেকে সিন্দরি হাইস্কুল ও জিলিং হাইস্কুলের পঞ্চাশ জন পরীক্ষার্থীকে পিকআপ ভ্যানে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন বাসিন্দারা। বরাবাজারে তাদের পরীক্ষাকেন্দ্র। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিয়ে বাড়িতে বাস চলে যাওয়ায় রাস্তায় বাস ছিল না। বরাবাজারের বিডিও অনিমেষকান্তি মান্না বলেন, “এক সঙ্গে ওই রুটের সব বাস তুলে দেওয়া ঠিক হয়নি। আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলব।”
|
ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ার। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জয়পুর ও চাষরোড স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃতার নাম উত্তরা মাহাতো (৬০)। তাঁর বাড়ি জয়পুর থানার পালঞ্জটোলা-কেশরডি গ্রামে।
|
দুগর্ন্ধ পেয়ে বাড়ির দরজা ভেঙে এক বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে পুঞ্চার দহলা গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম মদন দত্ত (৮৫)। |