নির্বাচন অতীত। এখন ফলের অপেক্ষা। দেড় বছরের মাথায় অকাল নির্বাচনের ফল ঘোষণা বৃহস্পতিবার।
রাজ্যের বাকি দুই বিধানসভার সঙ্গে মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে ঠিক হয়ে যাবে সদ্য মন্ত্রী হওয়া হুমায়ুন কবীর আবার মহাকরণে যাবেন কিনা। প্রমাণ হবে, জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা রেল প্রতিমন্ত্রীর প্রতি জনগণের সর্মথন কতটা। নাকি জোট-ছিন্ন কংগ্রেস-তৃণমূলের ভোট ভাগাভাগিতে জয় পাবেন বাম প্রার্থী।
রেজিনগর বিধানসভার মানুষ এলাকায় রাজ্য সরকারের এক জন মন্ত্রী পেয়ে তাকেই জয়ী করবে বলে দাবি তৃণমূলের। অন্য দিকে, জেলার উন্নয়নের কাণ্ডারী রেল প্রতিমন্ত্রীকে দীর্ঘদিন চেনে এলাকার লোক। বিগত অভিজ্ঞতাই জেতাবে কংগ্রেসকে। ওই ভোট ভাগাভাগিই বামফ্রন্টের আর এসপি-কে জেতাবে বলেও মনে করছেন অনেকে।
১৪টি পঞ্চায়েতের বিধানসভায় গত এক মাস ধরে তিন পক্ষই প্রচার চালিয়েছে। প্রচারে বলিউড, টলিউড তারকা সমাবেশ ছাড়াও রাজ্য স্তরের মন্ত্রী, নেতারাও এলাকায় এসেছেন। প্রচারে সব চেয়ে উন্মাদনা দেখা গিয়েছে অভিনেতা অভিনেত্রীর রোডশোতে। কংগ্রেস সাংসদ রাজ বব্বর এসেছেন। অন্য দিকে, তৃণমূলের সাংসদ তাপস পাল ও শতাব্দী রায়ও প্রচারে এসেছেন। তৃণমূলের পক্ষে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে মুম্বই থেকে অভিনেতা শক্তি কাপুর ও অভিনেত্রী জিনাত আমনকে আনা হয়েছে। কলকাতার অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা পাল ও কাঞ্চনা দেকে আনা হয়েছে। তবে প্রচারে যে-ই এগিয়ে থাকুক বৃহস্পতিবার বাক্স খুললেই আসল ‘বিড়াল’ বেরিয়ে পড়বে।
বেলডাঙা-১ পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেস সভাপতি সুখেন হালদার বলেন, “বেগুনবাড়ি পঞ্চায়েতের কাজিশা অঞ্চলে ভোট পড়েছে কংগ্রেস এবং আরএসপি-র পক্ষে। স্বরূপনগরে কংগ্রেস ও তৃণমূলের পক্ষে ভোট পড়েছে। আণ্ডিরণে কংগ্রেস এক হাজার ভোটে এগিয়ে থাকবে। কাপসডাঙা পঞ্চায়েতের ছেতিয়ানি অঞ্চলে কংগ্রেস ও আর এস পি ভোট পাবে। কাপাসডাভা পূর্বপাড়া অঞ্চলে কংগ্রেস ও তৃণমূল ভোট পেলেও ৪ হাজার ভোট বেশি পাবে কংগ্রেস। মির্জাপুর-১ পঞ্চায়েতে বাম ও কংগ্রেস ভোট পাবে।”
তৃণমূল কংগ্রেস প্রচার করছে, রামনগর বাছড়া পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএম থেকে তৃণমূলে চলে যাওয়ায় সেখানে ভোট তৃণমূলই পাবে। কিন্তু এলাকায় গিয়ে দেখা গেল মহ্যমপুর, বিধুপাড়ার মতো কিছু এলাকায় তৃণমূল ভোট টানলেও কংগ্রেস ও বাম বাকি ভোট পাবে।
এ সবই অবশ্য হিসেব। তার বাইরে পড়ে থাকে প্রত্যাশা, শুভেচ্ছা। হিসেব না শুভেচ্ছা, জিতবে কে? |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
রেজিনগর বিধানসভা কার দখলে থাকবে, বৃহস্পতিবার সকালেই তা নির্ধারিত হয়ে যাচ্ছে। এ দিন সকাল ৮টা থেকে শুরু হচ্ছে উপ-নির্বাচনের ভোট গণনা। বহরমপুর গার্লস কলেজের হলে শুরু হচ্ছে গণনা। ১২ রাউণ্ড গণনার প্রথমেই পোস্টাল ব্যালট গোনা হবে। জেলাশাসক রাজীব কুমার জানান, নির্বাচনের মতোই গণনার দিনও শান্তি বজায় রাখতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভোট গণনায় নিয়োগ হয়েছে ১৮০ জন সরকারী কর্মীকে। অবাঞ্ছিত ঘটনা এড়াতে গার্লস কলেজের দু’প্রান্তে পুলিশ পথচারি ও যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। |