সদ্য কিশোরী নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পেয়েই পড়শি যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য ওই যুবকের বাড়ি থেকে ক্রমাগত হুমকি দেওয়ায় ফের পুলিশের কাছেই ফিরে গিয়েছিলেন কিশোরীর বাড়ির লোকজন। তবে এ বার আর তৎপরতা দেখায়নি পুলিশ। অভিযোগ, উল্টে প্রায় ঘাড় ধাক্কা দিয়ে থানা থেকে বের করে দেওয়া হয় মেয়েটির আত্মীয়দের। |
ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়। |
আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মুর্শিদাবাদের ফাদিলপুরের বাসিন্দারা। বুধবার দুপুর থেকে প্রায় সাত ঘন্টা ধরে তাঁরা অবরোধ করেন জঙ্গিপুর-লালগোলা রাজ্য সড়ক। অবরোধ সরাতে পুলিশ লাঠি চালালে পরিস্থিতি আরও তপ্ত হয়ে ওঠে। শুরু হয় ইট-বৃষ্টি। ভাঙচুর চলে পুলিশের ১১টি গাড়িতে। বাধ্য হয়ে পুলিশকে বেশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে হয়। আহত হন জনা দশেক গ্রামবাসী। পুলিশের দাবি, তাঁদেরও অন্তত বারো জন কর্মী জখম হয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে সন্ধেয় যান জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর। এ দিন অন্তত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সোমবার সম্মতিনগর লাগোয়া ফাদিলপুর-ডিহিপাড়া গ্রামের এক কিশোরীকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে উমরপুরের একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে গ্রামেরই এক স্বর্ণব্যবসায়ীর ছেলে। রাতেই মায়ের কাছে ঘটনাটি জানায় ওই কিশোরী। তাকে ভর্তি করানো হয় জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে। অভিযোগ পেয়ে সে রাতেই পুলিশ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে। কিন্তু, তারপর থেকেই ওই ব্যবসায়ী-পুত্রের সাঙ্গোপাঙ্গরা কিশোরীর বাড়িতে এসে ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ। সে ব্যাপারে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেই পুলিশের কাছে তাঁরা ফিরে পান ‘দুর্ব্যবহার’। এমনই দাবি ওই কিশোরীর বাড়ির লোকের। ওই কিশোরীর দাদা বলেন, “আতঙ্কিত হয়ে রঘুনাথগঞ্জ থানায় গিয়েছিলাম। কিন্তু অভিযোগ না নিয়ে আইসি আমার মা-বোন সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেন। তারপর আমাদের থানা থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।” জেলা পুলিশ সুপার বলেন, “পুলিশ দুর্ব্যবহার করেছে কিনা, খতিয়ে দেখা হবে।” |