টুকরো খবর |
বোর্ড মিটিংয়ের স্থান বদল পুরসভার
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
বিগত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বোর্ড মিটিংয়ের স্থান পরিবর্তন করল হলদিয়ার বাম পরিচালিত পুরসভা। আজ, বৃহস্পতিবার পুরসভার ষষ্ঠ বোর্ড মিটিং হবে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ‘নিবেদিতা সদন’ সভাগৃহে। এর আগে বোর্ড মিটিংয়ে তৃণমূলের বিক্ষোভ ও বাধার প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত। এই বোর্ড মিটিংয়ের চিঠি এক দিন আদে পাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই পুরপ্রধান তমালিকা পণ্ডাশেঠের বিরুদ্ধে ‘কারচুপি’র অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী তৃণমূল কাউন্সিলররা। মঙ্গলবার ও বুধবার পুরভবনে আসতে দেখা যায়নি পুরপ্রধান ও উপ-পুরপ্রধানকে। বোর্ড মিটিংয়ের স্থান বদল প্রসঙ্গে উপ-পুরপ্রধান নারায়ণ প্রামাণিক বলেন, “পুর-আইন অনুযায়ী পুরসভার যে কোনও সভাকক্ষে, এমনকী রাস্তাতেও বোর্ড মিটিং করা যায়। আগের অভিজ্ঞতা আমাদের কাছে তিক্ত। প্রতি বারই পুরসভায় বোর্ড মিটিং করতে গিয়ে অশান্তি হয়েছে। তাই এই সিদ্ধান্ত।” যদিও বিষয়টিকে ‘চক্রান্ত’ বলেই দেখছেন বিরোধী দলনেতা দেবপ্রসাদ মণ্ডল। তাঁর বক্তব্য, দু’দিন ধরে জবাবদিহির ভয়ে পুরসভায় আসেননি পুরপ্রধান। বোর্ড মিটিংয়ের স্থান বদল করেছেন। আমার আশঙ্কা নিবেদিতা সদনে হবে বলে ওঁরা অন্যত্র বোর্ড মিটিং করবেন।” গত জুনে পুর-নির্বাচনে হলদিয়া পুরসভা পুনর্দখল করে বামেরা। এর পর থেকে প্রতি মাসে উন্নয়নমুলক বোর্ড মিটিং ‘অবৈধ’ ঘোষণার দাবি জানিয়ে লাগাতার বিক্ষোভ চালিয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। ২৬ ডিসেম্বর পুরসভার ছ’মাস পূরণের দিন পঞ্চম বোর্ড মিটিংয়েও চূড়ান্ত অশান্তি হয়। এ বারও বোর্ড মিটিং ঘিরে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় পুরবাসী। পুলিশ অবশ্য প্রস্তুত। হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, “পুলিশ মোতায়েন থাকেই। আমরা এ বারও পর্যাপ্ত পুলিশের বন্দোবস্ত করব পুরভবন, নিবেদিতা সদন-সহ সর্বত্র।”
|
নাবালিকা পাচার, মহিষাদলে ধৃত দুই
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
বিয়ের টোপ দিয়ে নাবালিকা পাচারের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে মহিষাদলের কাপাসএড়্যা থেকে বছর পনেরোর ওই নাবালিকাকেও উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃত গোবিন্দ মাইতি ও সুনীল বেরাও সবংয়য়েরই বাসিন্দা। ধৃতদের বুধবার হলদিয়া এসিজেএম আদালতে হাজির করা হলে ১৪ দিন জল হেফাজতের নির্দেশ হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং থানার ভেমুয়ার বাসিন্দা ওই নাবালিকার সঙ্গে বেশ কয়েকদিন ধরেই সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল গোবিন্দ। সম্প্রতি সে নাবালিকাকে বিয়ের কথা বলে। সেই ফাঁদে পা দিয়েই বাড়ি ছাড়ে মেয়েটি। বুধবার দুপুরে গোবিন্দের বন্ধু সুনীলের মোটর বাইকে চেপে তিনজনই মহিষাদলে আসে। মেয়েকে মহিষাদল নিয়ে আসা হয়েছে জানতে পেরে ওই নাবালিকার মাও আসেন। মহিষাদল থানায় ঘটনার কথা বিস্তারিত জানালে তল্লাশিতে নামে পুলিশ। রাতে কাপাসএড়্যার একটি হোটেল থেকে ওই নাবালিকা-সহ ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই পাচারের পিছনে অন্য কোনও বড় চক্র রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুঁইয়া। তাঁর কথায়, “বাম আমলের মতো এখনও নারী পাচার চলছে।
|
নাবালিকার বিয়ে রুখে দিল প্রশাসন
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
নাবালিকা বিবাহ রুখে দিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগ। মঙ্গলবার গোপীবল্লভপুর ১ ব্লকের সাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ধরমপুর গ্রামের ঘটনা। গোপীবল্লভপুরের বিডিও অনন্য জানা বলেন, “অভিযোগ পেয়ে আমি, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার লোকজন ওই নাবালিকার বাড়ি যাই। তারপর ওর বাবা-মাকে বুঝিয়ে রাজি করানো হয়।” স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষে স্বাতী দত্ত বলেন, “নয়াগ্রাম গোপীবল্লভপুর, জামবনি, বেলিয়াবেড়া, বেলপাহাড়ি এলাকায় নাবালিকা বিবাহের প্রবণতা বাড়ছে। আমরা এ নিয়ে প্রচার শুরু করেছি। আগামী ৮ মার্চ সাঁকরাইলে নাবালিকা বিয়ের কুফল নিয়ে সচেতনতা শিবির আয়োজিত হবে।”
|
কেশপুরেউন্নয়ন-বৈঠক
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কোন প্রকল্পের কাজ ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে, কাজ এগোনোর ক্ষেত্রে কোনও রকম সমস্যা রয়েছে কি না, সমস্যা থাকলে তা কী এবং কী ভাবেই বা সেই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায় এ সব খতিয়ে দেখতে বুধবার কেশপুর ব্লক অফিসে এক বৈঠক হল। উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক অমিতাভ দত্ত। ছিলেন কেশপুরের বিডিও মহম্মদ জামিল আখতার-সহ মেদিনীপুর মহকুমার অন্তর্গত ছ’টি ব্লকের বিডিওরা। বৈঠকে গোটা মহকুমা জুড়ে উন্নয়নমূলক যে সব প্রকল্পের কাজ চলছে, তার বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়। আলোচনায় উঠে আসে একশো দিনের কাজের প্রকল্প, মাওবাদী এলাকার জন্য বিশেষ কেন্দ্রীয় প্রকল্প ‘ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকশন প্ল্যান’ (আইএপি) থেকে শুরু করে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আর এক মাসের মধ্যেই চলতি অর্থ বর্ষ শেষ হবে। বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ এই সময়ের মধ্যেই শেষ হওয়ার কথা। সেই সব কাজ যাতে সময় মতো শেষ হয়, সেই নির্দেশও দেন মহকুমাশাসক।
|
শিশু ধর্ষণে দশ বছর জেল
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
পাঁচ বছরের এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত আজাদ আলি শাহের দশ বছরের কারাদণ্ড হল। ঘটনাটি ছয় বছরের পুরনো বুধবার কাঁথি আদালতেরর বিচারপতি উপল মিশ্র এই সাজা ঘোষণা করেন। আদালতের সরকারি আইনজীবী সন্দীপ মাইতি জানিয়েছেন, ২০০৭ সালের ২২ মার্চ সন্ধ্যায় ওই শিশুকন্যার মা বাড়িতে ছিলেন না। সেই সুযোগে প্রতিবেশী আজাদ আলি শাহ, পাঁচ বছরের ওই শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে। পুলিশও প্রথমে নিষ্ক্রিয় ছিল। ঘটনার পরদিন মেয়েটির মা থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি মহিলা কমিশনের দারস্থ হন। মহিলা কমিশনের উদ্যোগে রামনগর থানায় আজাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এরপরই বুধবার আজাদের দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে কাঁথি আদালত।
|
বিবেকানন্দ নিয়ে কলেজে আলোচনা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের উদ্যোগে কেশপুর কলেজে এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছিল বুধবার। ‘সার্ধ শতবর্ষের আলোয় স্বামী বিবেকানন্দ’ শীর্ষক আলোচনাসভার উদ্বোধন করেন মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী শ্রুতিসারানন্দ। ছিলেন বিশ্বভারতীর বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রধান সুদীপ বসু, রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নন্দকুমার বেরা, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লায়েক আলি খান প্রমুখ। ‘কবি বিবেকানন্দ’, ‘স্বামী বিবেকানন্দের ভারতচিন্তা’, ‘ভারতবর্ষীয় সমাজ ও বিবেকানন্দ’, এই তিনটি বিষয় নিয়ে সভায় আলোকপাত করেন বক্তারা। ছাত্রছাত্রী থেকে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই সভায় যোগ দেন। কেশপুর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তথা এই কলেজের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সুশান্তকুমার দোলুই বলেন, “স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম-সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে এই কর্মসূচি।”
|
গ্রেফতার চার দুষ্কৃতী
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
ছিনতাইয়ের উদ্দেশে জড়ো হওয়া চার দুষ্কৃতীকে ধরল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে মহিষাদলের তাজপুর থেকে একটি গাড়ি-সহ ওই দুষ্কৃতীরা ধরা পড়ে। ধৃতরা হল হলদিয়ার থার্টিন মোড়ের বাসিন্দা বাপন দাস, বিশ্বজিৎ প্রামাণিক, মন্টু দাস ও নারায়ণ মান্না। তাদের বুধবার হলদিয়া এসিজেএম আদালতে হাজির করা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়। মঙ্গলবার রাতে ওই চার জনকে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে পাকড়াও করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে অসঙ্গতি ধরা পড়ায় তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধারালো অস্ত্র, সাইকেলের চেন, লাঠি উদ্ধার করা হয়। মাস খানেক আগে গাড়ুঘাটা থেকে মহিষাদল আসার রাস্তায় এক ডেকোরেটর জখম হন। পুলিশের ধারণা, ছিনতাইয়ের উদ্দেশেই তাঁকে ভোজালি দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। ওই সড়কে ছিনতাই বাড়ছে এই অভিযোগে স্থানীয়দের চাপের মুখেই টহলদারিতে নামে পুলিশ।
|
মোটরবাইক উল্টে মৃত্যু দুই যুবকের
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
মোটরবাইক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন দুই আরোহী। বুধবার রাত ৮টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হলদিয়ার গাঁধীনগরে। মৃতর অরুণ মাহাতো (২৪) ঝাড়গ্রাম মানিকপাড়ার এবং অনীক দে (২৪) হলদিয়ার পানার বাসিন্দা। তাঁরা ক্ষুদিরামনগর গ্লোবাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ক্ষুদিরামনগর থেকে অনীকের পরিচিত এক যুবকের বাইকে চেপে তাঁরা রানিচকে আসছিল। বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কালভার্টে ধাক্কা মারলে অরুণ ঘটনাস্থলেই মারা যান। অনীকের মৃত্যু হয় হলদিয়া হাসপাতালে। |
|