|
|
|
|
ছাত্রী খুনে গ্রেফতার সেই ‘সৎমা’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
স্কুলছাত্রী খুনে অভিযুক্ত ‘সৎমা’কে গ্রেফতার করল পুলিশ। তমলুকের আবাসবাড়ির বাসিন্দা জ্যোৎস্না মোহন্তকে বুধবার দুপুরে নন্দকুমার থেকে ধরে পুলিশ। ধৃত জ্যোৎস্নাদেবীর বাপেরবাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী শুভাশ্রী দে ওরফে মনীষার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় মঙ্গলবার। জ্যোৎস্নাদেবীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন বলেন, “খুনে অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
আবাসবাড়ির বাসিন্দা সরকারি কর্মী শুভঙ্কর দে-এর সঙ্গে উত্তরবঙ্গে বিধবা জ্যোৎস্নাদেবীর পরিচয় হয়। উভয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ। |
|
তমলুকে ছাত্রী খুনে ধৃত সৎ মা |
তমলুক শহরের শালগেছিয়া এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে জ্যোৎস্নাদেবী থাকতেন। সেই বাড়িতে শুভঙ্করবাবু নিয়মিত যেতেন বলে অভিযোগ। এতে স্ত্রী আরতিদেবী, দুই ছেলে ও মেয়ে আপত্তি জানায়। এই নিয়ে পরিবারে অশান্তি চলছিল। মঙ্গলবার জ্যোৎস্নাদেবী আবাসবাড়িতে শুভঙ্করবাবুর বাড়িতে গেলে স্ত্রী আরতিদেবী, মেয়ে শুভাশ্রীর সঙ্গে প্রথমে বচসা হয়। তখন অভিযুক্ত জ্যোৎস্নাদেবী আরতিদেবী ও শুভাশ্রীকে মারধর করে। এতে শুভাশ্রীর মাথায় আঘাত লাগলে তাকে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান আরতিদেবী। চিকিৎসার পর শুভাশ্রীকে বাড়িতে রেখে থানায় অভিযোগ জানাতে যান আরতিদেবী।পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে জেনেছে, অভিযুক্ত এর পর ধারালো ক্ষুর নিয়ে ফের শুভঙ্করবাবুর বাড়িতে আসে। সেই সময় আরতিদেবীকে না পেয়ে ক্ষুর দিয়ে শুভাশ্রীর গলার নলি কেটে দেয়। প্রতিবেশীদের সাহায্য চাইতে দোতলার ছাদে উঠে গেলে জ্যোৎস্নাদেবীর ফের শুভাশ্রীর ক্ষুর চালায়। ঘটনাস্থলেই মেয়েটির মৃত্যু হয়। জ্যোৎস্নাদেবী পালিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, শুভঙ্করবাবুর সঙ্গে সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে জ্যোৎস্নাদেবী খুনের পরিকল্পনা করে। খুনের ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা তা তদন্তে দেখা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|