|
|
|
|
নাবালিকা অপহরণ, উদ্ধারে গিয়ে প্রহৃত পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে বলে পুলিশে জানিয়েছিলেন বাবা। কিন্তু সমস্যা সমাধানে সিপিএম-সিপিআইয়ের স্থানীয় নেতারা সালিশি সভা ডাকেন। অভিযুক্ত যুবক ও তার পরিবারের লোকজনও সালিশিতে ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। অভিযোগ, অভিযুক্তের পরিজনেরা পুলিশের কাছ থেকে তাকে ছিনিয়ে নেয়। মেয়েটির বাবা-দাদাকেও মারধর করা হয়। পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করতে না পারলেও ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে। বুধবার মেয়েটিকে তমলুক আদালতে হাজির করা হলে বিচারক বাবার কাছে পাঠানো নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পাঁশকুড়ার দেভোগ গ্রামে। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে সিপিএম নেতা নিরঞ্জন সিহি, সিপিআই নেতা শুধাংশু আদকের। তৃণমূলের পাঁশকুড়া ব্লক সভাপতি দীপ্তি জানার অভিযোগ, “নাবালিকা অপহরণের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও সিপিএম নেতারা চাপ দিয়ে সালিশি সভা ডেকেছিলেন। অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে জোর করে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মদত দিয়েছে নিরঞ্জনবাবুরা।” নিরঞ্জনবাবু অবশ্য অভিযোগ মানেননি। তাঁর বক্তব্য, “মেয়েটির বাবা আমার গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর অনুরোধেই সালিশি সভায় গিয়েছিলাম। তৃণমূল নেতারা সেখানে ছিলেন। ওই নাবালিকা স্বেচ্ছায় বিয়ে করে যুবকটির সঙ্গে গিয়েছে বলে জানায়। তা সত্ত্বেও আমি মেয়েটিকে বুঝিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। আচমকা পুলিশ এসে পরে। আমরাও চলে আসি। এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।”
ওই নাবালিকার বাড়ি পাঁশকুড়া থানার তিলাগড় গ্রামে। মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে বলে গত ২১ ফেব্রুয়ারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই নাবালিকার বাবা। অভিযুক্ত যুবক তাপস পণ্ডিতের বাড়ি স্থানীয় ধনঞ্জয়পুর গ্রামে। অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ তাপসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ইতিমধ্যে সালিশির মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর তোড়জোর শুরু হয়। মঙ্গলবার রাতে দেভোগ গ্রামে সিপিআই নেতা শুধাংশু আদকের বাড়িতে সালিশি সভা বসে। ওই নাবালিকা, অভিযুক্ত যুবক এবং দুই পরিবারের লোকজন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। রাত নটা নাগাদ পুলিশ পৌঁছলে গোলমাল বাধে। পুলিশের কাছ থেকে তাপসকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মারধর করা হয় মেয়েটির বাবা ও দাদাকে। এই ঘটনারও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। |
|
|
|
|
|