|
|
|
|
এগরা পুরসভা |
পরীক্ষা বাতিল, বিপাকে কর্মপ্রার্থীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে এগরা পুরসভায় ২৮টি পদে কর্মী নিয়োগের পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন প্রায় আড়াই হাজার কর্মপ্রার্থী। অনেকেই পরীক্ষা বাতিলের নির্দেশ বাতিল ও পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার আবেদন নিয়ে দ্বারস্থ হচ্ছেন আদালতের।
গত ১৬ ও ২৩ সেপ্টেম্বর পুরসভায় কর্মী নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষা শুরুর আগে জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি তথা তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেন কয়েকটি প্রশ্নের নমুনা-সহ পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে প্রশ্ন ফাঁস করার অভিযোগ জানান জেলাশাসকের কাছে। অভিযোগের সত্যতা মিলেছে বলে তদন্তের রিপোর্টে জানান মহকুমাশাসক। সেই রিপোর্ট জেলাশাসকের কাছ থেকে পেয়ে পুর দফতরের সচিবকে পাঠান স্বশাসিত সংস্থার অধিকর্তা। পুর দফতরের যুগ্ম সচিব বি এম দাস স্বশাসিত সংস্থার অধিকর্তাকে নির্দেশ দেন এগরা পুরসভায় এসে বিশদে তদন্ত করে রিপোর্ট পাঠানোর জন্য। এই নির্দেশপত্রে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত পুরপ্রধানকে ১১ ফেব্রুয়ারি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পরীক্ষা বাতিলের প্রশাসনিক নির্দেশের কথা। পুরপ্রধানকে এও নির্দেশ দেওয়া হয়েছেপরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই দুই পরীক্ষাকে গুরুত্ব না দিতে। পরীক্ষাক্ষেত্রে হওয়া অনিয়মগুলির বিরুদ্ধে কেন বিধিসম্মত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ওই নির্দেশপত্র পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। যদিও কংগ্রেস ও তৃণমূল জোট পরিচালিত এগরা পুরসভার পুরপ্রধান কংগ্রেসের স্বপন নায়ক বলেন, “প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। পরীক্ষার্থীরা কেউই অভিযোগ করেননি।” পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের সুব্রত পণ্ডা বলেন, “টাকা লেনদেন করেই প্রশ্ন ফাঁস করা হয়েছিল।”
প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে এমনটাই বিশ্বাস করে কর্মপ্রার্থী মণিশঙ্কর জানা, কেদার কামিল্যাদের বক্তব্য, “অর্থের বিনিময়ে যোগ্যদের বঞ্চিত করার চেষ্টা হয়েছিল। প্রশাসনিক এই সিদ্ধান্তে আমরা খুশি। পরীক্ষা ব্যবস্থা স্বচ্ছ হলে চাকরি পাওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।” পার্থ ঘোষ, মণিশঙ্কর কর মহাপাত্রদের যদিও বক্তব্য, “আমাদের পরীক্ষা ভালই হয়েছিল। আমরা আশাবাদী চাকরি পাওয়ার ব্যাপারে। আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিয়েছি।” আবার সৌগত বসুদের মতো কর্মপ্রার্থীরা চাইছেন, “পরীক্ষা সমস্যার দ্রুত মিটিয়ে প্রয়োজনে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া হোক। আমরা বেকার। তাই দ্রুত কর্মসংস্থান চাই।”
কর্মচারীরাও মানছেন, প্রথমে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ও তার পাঁচ মাস পরে প্রশাসনের এই নির্দেশে তাঁরা হতাশ। সমস্যার জট কবে কাটবে তার দিকেই তাকিয়ে তাঁরা। |
|
|
|
|
|