|
|
|
|
বিদ্যুতের অভাবে চাষে ক্ষতি, বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
বিদ্যুৎ-সঙ্কটে চাষ নষ্ট হচ্ছেএই অভিযোগে বুধবার বিদ্যুৎ দফতরের এগরা বাসস্ট্যান্ডের সাব স্টেশনে তালা লাগিয়ে দিলেন চাষিরা। ওই সাবস্টেশন থেকে পটাশপুর প্রতাপদিঘিতে যাওয়া দুটি ফিডার লাইনও নামিয়ে দেওয়া হয়। ক্ষুব্ধ প্রায় দুশো চাষি এগরা শহরের দিঘা মোড়ে বিদ্যুৎ দফতরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেন। কিন্তু, সমস্যার সমাধান দূরের কথা, দফতর খোলা বা সাবস্টেশনের তালা খুলিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার ব্যবস্থা করেননি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থার কোনও ইঞ্জিনিয়ার। ফলে, মাধ্যমিক পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে পটাশপুর ২ ব্লকের প্রায় সত্তর শতাংশ এলাকা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে থাকল। যদিও বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থার এগরার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু মাইতি বলেন, “সাব স্টেশনের তালা খুলে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার জন্য এগরা থানা ও মহকুমাশাসককে বারবার জানিয়েছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে।” তাঁর মতে, “মূল সমস্যার সমাধান করতে আরও কুড়ি দিন লাগবে।”
এগরা ১ ব্লকের বরিদা ও দাঁতন ২ ব্লকের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চাষিদের অভিযোগ, হরিপুর ফিডার লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাপক ঘাটতি থাকায় মাঠ শুকিয়ে গিয়েছে। আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা বিনয় মহাপাত্র, সুবলচন্দ্র দাস, দেবব্রত মাইতিদের অভিযোগ, “বিদ্যুৎ দফতরে বারবার আবেদন করেও সাড়া মেলেনি। অথচ, বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকার আশ্বাস পেয়ে তবেই আমরা চাষে নেমেছিলাম। চাষ নষ্ট হলে আত্মহত্যা ছাড়া গতি থাকবে না।” আন্দোলনকারী খোকন অধিকারী, সুকুমার প্রধানদের হুমকি, “আমরা বিদ্যুৎ না পেলে অন্য এলাকাকেও পেতে দেব না। তাই সাব স্টেশনের ফিডার লাইন খুলে তালা দিয়েছি।” এ দিন সকাল থেকেই অবশ্য এগরার মহকুমাশাসক অসীমকুমার বিশ্বাস বিদ্যুৎ সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার ও চাষিদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ স্বপন রায় বলেন, “সিপিএম চাষিদের খেপিয়ে তুলে এমনটা করেছে। চাষিরা সংযোগ নিয়েছিলেন শর্ত সাপেক্ষে। এখন সেই শর্ত ভুলে যাচ্ছেন।” মূল সমস্যা কোথায়? অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু মাইতির বক্তব্য, “হরিপুর ফিডার লাইনের যা ক্ষমতা তার চেয়ে অনেক বেশি বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। ফলে ভোল্টেজ কম থাকছে, পাম্প চালিয়ে জল তোলায় সমস্যা হচ্ছে। সমস্যা সমাধানের জন্য এগরা পাওয়ার স্টেশন থেকে ৩৩ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন একটি লাইন সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে সাব স্টেশনে যুক্ত করার কাজ চলছে। খুঁটি পোঁতা হয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, “এই কাজের জন্য পূর্ত দফতরের জমির উপর দিয়ে তার যাবে। সে জন্যে আবার কিছু গাছ কাটা প্রয়োজন। বন দফতর ও এগরা পুরসভা সেই কাজে গড়িমসি করায় কাজে দেরি হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|