|
|
|
|
ক্ষুদ্রশিল্পে প্রচুর কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি মন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কৃষির পর ক্ষুদ্রশিল্পের মাধ্যমেই সব থেকে বেশি কর্মসংস্থান সম্ভব বলে মনে করে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের প্রতিমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তাঁর দাবি, রাজ্য সরকার ক্ষুদ্রশিল্পে বাড়তি জোর দিচ্ছে। বুধবার মেদিনীপুরে এসে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য, ক্ষুদ্রশিল্পের মাধ্যমে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান। গরিব মানুষ তো ক্ষুদ্রশিল্পকে আঁকড়েই বেঁচে থাকে। ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পে গ্রাম বাংলায় প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে। আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন। সরকার আপনাদের পাশে আছে।” |
|
হস্তশিল্পীদের সাহায্য। —নিজস্ব চিত্র। |
জেলা শিল্পকেন্দ্রের উদ্যোগে এ দিন এক হস্ত ও তাঁতশিল্পী শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল মেদিনীপুরে। ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প দফতরের প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা, বিধায়ক মৃগেন মাইতি, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) সুমন ঘোষ প্রমুখ। শিবির থেকে হস্তশিল্পীদের পরিচয়পত্র, স্বাস্থ্য বিমাপত্র এবং ঋণপত্র বিতরণ করা হয়। সঙ্গে পাশ বই এবং তাঁত বিলির কর্মসূচিও ছিল। জেলা শিল্পকেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার প্রহ্লাদ হাজরা বলেন, “আগামী দিনেও এমন শিবির হবে।” পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, “২০১০-১১ আর্থিক বছরে পশ্চিম মেদিনীপুরে সব মিলিয়ে সাত হাজার পরিচয়পত্র বিলি হয়েছিল। আর আমাদের সরকারের আমলে ৫৩ হাজার ৮৩০টি পরিচয়পত্র বিলি হয়ে গিয়েছে। ২০১০-’১১ আর্থিক বছরে জেলায় মাত্র ১৫৩ জন ক্রেডিট কার্ড পেয়েছিলেন। যে কার্ড দেখিয়ে শিল্পীরা সহজে ঋণ পেতে পারেন। আমাদের সরকারের আমলে ১০ হাজার ৩৪৯ জন কার্ড পেয়েছেন। এটাই সরকারের সাফল্য।”
উপস্থিত আধিকারিকদের স্বপনবাবু জানিয়েছেন, তাঁতবস্ত্র বিক্রি না করেও খাতায়কলমে বিক্রি দেখানোর প্রবণতা বরদাস্ত করা হবে না। সব তাঁত চালু করতে হবে। তাঁত বুনতে হবে। সরকার সব রকম সাহায্য করবে। সুতো আর তাঁত দিয়ে সহযোগিতা করা ছাড়াও তাঁতবস্ত্র বিপণনেরও ব্যবস্থা করবে। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী ক্ষুদ্রশিল্পীদের উদ্দেশে বলেন, “মা-মাটি-মানুষের সরকার আপনাদের জন্য চিন্তাভাবনা করছে। ক্ষুদ্রশিল্পে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। শান্ত জঙ্গলমহলে উন্নয়ন আলাদা মাত্রা পেয়েছে।” তবে সব বেকার যুবক-যুবতীকে সরকারি চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়, তা মেনেই মন্ত্রীর বক্তব্য, “সরকারি চাকরি সকলকে দেওয়া সম্ভব নয়। বাস্তবেই সম্ভব নয়। তাই ক্ষুদ্রশিল্পে উৎসাহ দেওয়া প্রয়োজন। যাতে অনেকে স্বনির্ভর হতে পারেন। সরকার সেই চেষ্টাই করছে।” শিবিরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক তথা মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান মৃগেন মাইতি বলেন, “আমাদের জেলায় সম্পদের শেষ নেই। শুধু সম্পদটাকে তুলে নিয়ে আসতে হবে।” |
|
|
|
|
|