|
|
|
|
মান্নার প্রয়াণবার্ষিকীতে বাগান রক্ষণই বেসামাল |
দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় • কল্যাণী |
মোহনবাগান-৪ (সাবিথ, ওডাফা-২, কুইন্টন)
ইস্টার্ন রেল-২ (গৌতম, বাপন) |
সকালে তাঁর ছবিতে মালা দিয়ে ক্লাব তাঁবু ছেড়েছিলেন টোলগে-ওডাফারা। দুপুরে সেই কিংবদন্তি শৈলেন মান্নার প্রথম প্রয়াণবার্ষিকীতে তাঁর আশীর্বাদেই কি কলকাতা লিগ খেতাবের দৌড়ে টিকে রইল মোহনবাগান?
বিদেশিহীন রেল দলের বিরুদ্ধে কষ্টার্জিত ৪-২ জয়! ওডাফা শেষ বেলায় একক ক্যারিশমায় গোলের রাস্তা না খুললে যুবভারতীতেই লিগ জয়ের উৎসব শুরু হয়ে যেতে পারত। খেলা শেষে বাগানের গোলকিপার কোচ হেমন্ত ডোরা বলে গেলেন, “শুরুতেই এগিয়ে গিয়ে হয়তো আত্মতুষ্টি এসে গিয়েছিল।” দু’মিনিটেই সাবিথের গোল। মণীশ মৈথানির ক্রসে মালয়ালি স্ট্রাইকার যখন গোল করছেন তখন তাঁকে ছেড়ে রেখেছে রেল রক্ষণ। এর পরেই কোচ সুমিত বাগচি দুই স্টপারকে ডাবল কভারিংয়ে ডাকটিকিটের মতো সেঁটে দিলেন ওডাফার গায়ে। সঙ্গে তৃতীয় পাহারাদার রামিজুল। লক্ষ্য ‘কিং কোবরা’-কে ফাঁকা জায়গা না দেওয়া। মাঝমাঠেও পায়ের জঙ্গল সাজিয়ে রাখলেন সুপার নাইনে মাত্র এক পয়েন্ট পাওয়া গৌতম-অভীক-বাপনরা। |
|
প্রয়াত শৈলেন মান্নার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর মূর্তির উন্মোচনে দুই অলিম্পিয়ান।
চুনী গোস্বামী ও বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সল্টলেক পুরসভার
ফুটবল মাঠে। ছবি: উৎপল সরকার। |
সহকারী বাগান কোচ মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায় তখন পালটা দু’প্রান্ত দিয়ে বিশ্বজিৎ আর আইবরকে পালা করে ওভারল্যাপে পাঠাতে শুরু করলেন। উইং থেকে বল আসলেও গোল আসছিল না। কখনও ওডাফা-সাবিথদের ব্যর্থতা। কখনও অফসাইড ট্র্যাপ। কখনও ইস্টার্ন রেলের তেকাঠির তলায় অনবদ্য কৌশিক ঘোষ। উলটে প্রথমার্ধের শেষ দিকে রেলের গৌতম পালের ক্রস বিপন্মুক্ত করতে গিয়ে ১-১ আইবরের বদান্যতায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সাবিথের লব থেকে ওডাফা ২-১ করলেও রেল শিবিরের দাবি গোলের আগে বল হাতে লাগিয়েছিলেন তিনি। তবে সেই ‘লিড’ও রাখা সম্ভব হয়নি বাগান রক্ষণের মন্থরতায়। বাপন ২-২ করার পর ওডাফাদের হাতে ছিল ২১ মিনিট। কার্ডের ভয়ে এতক্ষণ বাইরে রাখলেও বেগতিক বুঝে মৃদুল এ বার নামিয়ে দিলেন টোলগেকে। অক্সিজেন পেলেন ওডাফাও। নাইজেরীয় গোলমেশিনের সৌজন্যেই পরপর দু’গোল। নিজে পেনাল্টি থেকে গোল করলেন। অন্তিম লগ্নে তাঁর বলেই গোল কুইন্টনের।
সুপার নাইনে ৫ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট আসলেও ইস্টার্ন রেলের আক্রমণ সামলাতেই হিমশিম বাগান। পোস্টে লেগে গৌতমের শট না ফিরলে কে বলতে পারে ফল অন্যরকম হত না? পরের ম্যাচে সঞ্জয় সেনের মহমেডানের বিরুদ্ধে এক ভুল করলে চওড়া হাসি ফুটতেই পারে কোনও এক ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের মুখে।
মোহনবাগান: অরিন্দম, আইবর, ইচে (রাজীব), মেহরাজ, বিশ্বজিৎ, মৈথানি, ডেনসন, কুইন্টন, ভার্গব (টোলগে), ওডাফা, সাবিথ। |
|
|
|
|
|